কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রাতের আঁধারে ম্যানেজারকে গুলি করে বালুঘাটের টোল বক্সের ক্যাশ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে মুখোশধারীরা। গুলিবিদ্ধ ম্যানেজারের নাম মো. সবুজ (৩৫)। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জগতি এলাকার শহিদুলের ছেলে। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার কিছু আগে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদের সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
রাকিবুল ইসলাম নামের এক যুবক জানান, রাতে চার-পাঁচটা মোটরসাইকেল নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রধারীরা বালুর ঘাটে এসে শ্রমিকদের মারধর শুরু করে। এরপর টোল বক্সের ক্যাশ থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় শ্রমিকেরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ম্যানেজার সবুজের পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে টাকা ছিনতাই করে নেয়। এরপর এলোপাতাড়ি বেশ কয়েকটি গুলি ছুড়ে চলে যায় তারা। সবার কাছে ওপেন অস্ত্র ছিল এবং সেগুলো সব ভারী অস্ত্র। প্রত্যেকেই মুখোশধারী ছিল বলে কাউকেই চেনা যায়নি।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের জুন মাসে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা টেন্ডারের মাধ্যমে গড়াই নদের ড্রেজারকৃত বালু অপসারণের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রিয়াঙ্কা ব্রিকস। তাদের টোল বক্সে এ ঘটনা ঘটে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বালু অপসারণের কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ মো. সবুজ বলেন, ‘সবার মুখ বাঁধা ছিল। তারা এসেই মারধর শুরু করে। আমার পায়ের পাতায় গুলি করে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১০টা ৫২ মিনিটে কাশেমপুরের দিক থেকে ১১ জন সশস্ত্র মুখোশধারী গুলি ছুড়তে ছুড়তে সৈয়দ মাছ উদ রুমী সেতুর নিচ দিয়ে বালুঘাটের টোল বক্সের দিকে আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। এরপর টোল বক্সের সামনে থাকা শ্রমিকদের ও ম্যানেজার সবুজকে মারধর করতে দেখা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারের একজন পার্টনার জানান, দেড় থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ ম্যানেজার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ বুধবার সকালে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, বালুঘাটে দুর্বৃত্তদের গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ছিনতাই করার জন্য দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি।
Leave a Reply