শুধুমাত্র জামিন শুনানী করা ও আসামির জামিন লাভ কিংবা কয়েক হাজার হাজতী আসামির জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিন মঞ্জুর করে বিচার বিভাগকে কি বাঁচানো যাবে?
দেওয়ানি আদালতের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা জামিন শুনানির থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেক মানুষের সম্পত্তি ইতোমধ্যে বেদখল হয়েছে। তাদের অবস্থা একবার ভেবে দেখা দরকার। নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের মতো জরুরী বিষয়টি আমরা একবারের জন্যও ভেবে দেখছি না।
তাছাড়া অনেক আইনজীবী আছেন, যারা ফৌজদারী মামলা পরিচালনা করেন না। এই ভার্চুয়াল বিচার জগতে এক শ্রেণির দালাল ও তাদের লালনপালনকারীরা সকল সুবিধা ভোগ করছে, যা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
দেওয়ানি মোকদ্দমা পরিচালনাকারী আইনজীবী সারা দেশের প্রায় ৫০%-এর মতো। তারা নিয়মিত আদালতের উপর নির্ভরশীল। তাদের কথা ও বিচারপ্রার্থী লিটিগ্যান্ট পাবলিকের কথা আমাদের ভাবা দরকার।
দেওয়ানি মোকদ্দমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি শুনানি করার জন্য দেওয়ানী আদালতের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি চালু করা প্রয়োজন। কারণ এই সংক্রামক মহামারী কবে নাগাদ বিতাড়িত হবে তা কেউ জানে না। এর প্রভাব যেন বিচার ব্যবস্থার উপর না পড়ে সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রেখেই দেওয়ানি আদালতের কার্যক্রম চালু করা উচিত।
সর্বোপরি জীবন ও জীবিকা একে অপরের পরিপূরক। আমাদের আইনজীবী সমাজ কিন্তু চাকুরী করে না। এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমাদের দেশের নীতিনির্ধারক মহল প্রায় ভুলতে বসেছেন।
যতদিন পর্যন্ত আদালতে সম্পূর্ণরূপে বিচার কার্যক্রম চালু না হয়, ততদিন পর্যন্ত যে আইনজীবী মাসে যত টাকা আয় করেন তাকে ঐ পরিমাণ টাকা দেয়া হোক। তা না হলে তারা কীভাবে তাদের জীবন বাঁচাবে সেই কথাটি এখন পর্যন্ত কেউ বলেন নাই। অভাগা দেশের আমরা অসহায় আইনজীবী!
Leave a Reply