লক্ষ্মীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় ডেকে নিয়ে ইউছুফ হোসাইন (৩৫) নামে এক রংমিস্ত্রিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। ৬ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন থেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
সন্ধ্যায় নিহতের স্ত্রী রুমা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোলে ৩ মাসের শিশু ও পাশে ছেলে রোহান ও মেয়ে মুনতাহাকে নিয়ে স্বামীর শোকে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী রুমা।
এরআগে ৫ এপ্রিল সকালে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার রাজিবপুর এলাকায় ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ইউছুফের পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
নিহতের স্ত্রী রুমা আক্তার ও বড় বোন সুমি আক্তার জানায়, উত্তর রাজিবপুর এলাকার নির্মাণ শ্রমিক হারুনুর রশিদের কাছে ইউছুফ ৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। ৪ এপ্রিল রাতে মোবাইলফোনে হারুনের কাছে ওই টাকা থেকে ইউছুপ ১ হাজার টাকা চেয়েছে। এনিয়ে তর্কাতর্কিও হয় দু’জনের মধ্যে। পরদিন ইউছুফের বন্ধু ওমর তাকে ডেকে নিয়ে যায় হারুনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাবুলের দোকানের সামনে। সেখানেই হারুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইউছুফের ফেটে আঘাত করে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে রাস্তার উপর ফেলে রেখে হারুন পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে ওমরসহ স্থানীয়রা ইউছুফকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রুমা আক্তার বলেন, আমার ৩টি সন্তান এতিম হয়ে গেল। তাদেরকে নিয়ে আমি কার কাছে যাবো। আমার স্বামীকে হারুন কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি তার বিচার চাই।
সুমি আক্তার বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার ভাইকে হারুন ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে ঘটনার পর থেকে হারুনুর রশিদ পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, মোবাইলফোনে ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply