পটুয়াখালীর বাউফলে এক শিক্ষকের প্রতিষ্ঠানে পড়তে রাজি না হওয়ায় মো. আরাফাত (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মামা মো. ফারুক হোসেন।
আজ বুধবার উপজেলার কচুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মো. আরাফাত উপজেলার বড় ডালিমা গ্রামের মো. ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে মোকলেছুর রহমান নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মো. রায়হান শেখ। তিনি তাহফিজুর হাফেজি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আরাফাতের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আরাফাত উপজেলার কচুয়া গ্রামে মোকলেছুর রহমান নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। এর আগে অন্য একটি মাদ্রাসায় বড় ডালিমা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত সে। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে ছিলেন। এ কারণে স্থানীয় লোকজন ওই হাফেজি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেন।
পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মো. রায়হান শেখ কালাইয়া এলাকায় তাহফিজুর হাফেজি মাদ্রাসা নামে আরেকটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর থেকে তিনি আগের ছাত্রদের খুঁজে এনে তার নতুন মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে মো. আরাফাত বলে, অনেক দিন ধরেই রায়হান হুজুর আমাকে তার মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য বলছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতেও হুজুর আমার মাদ্রাসায় এসে দেখা করে তার মাদ্রাসায় ভর্তি হতে বলেন। এতে আমি রাজি না হওয়ায় তিনি আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে তিনি দুজন শিক্ষার্থী পাঠিয়ে আমাকে ডেকে কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকার উল্টো পাশে নিয়ে যান। হুজুর সেখানে আগেই উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি আমার গলা টিপে ধরে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা শিক্ষার্থীরাও আমাকে মারধর করে।
অভিযোগ বিষয়ে রায়হান শেখ বলেন, আরাফাত আমার ছাত্র ছিল। ও তার মাদ্রাসার ছাত্রদের ফুসলিয়ে মোকলেছুর রহমান নুরানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার জন্য বলে। বিষয়টি জানার পর আমি আমার দুই ছাত্রকে দিয়ে আরাফাতকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেছি। তাকে কোনো মারধর করিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply