উইমেন ডেস্ক : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৭ আশ্বিন ১৪২৮ |
মাদারীপুরের শিবচরে রতন (৮) নামে এক শিশুকে গলায় বেল্ড পেঁচিয়ে হত্যা করেছে কায়েস (২০) নামে এক যুবক। এ সময় সোহান (৯) নামে আরেক শিশুকেও হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে জানা যায়।মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রিল খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশু রতন ও শিশু সোহানকে ফুসলিয়ে কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়কের ফোর লেনের ধারে নিয়ে আসে ঘাতক কায়েস। এরপর সোহানকে খাবার আনার কথা বলে রতনকে দূরে নিয়ে গিয়ে প্যান্টের বেল্ড গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এর কিছুক্ষণ পরে ঘাতক কায়েস সোহনকে নিয়েও কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন বালুর মাঠে নিয়ে গলায় বৈদ্যুতিক তার পেঁচিয়ে তাকেও হত্যার চেষ্টা চালায়।
সোহান চিৎকার করলে ঘাতক কায়েস পালিয়ে যায়। পরে সোহানকে উদ্ধার করে শিবচর নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে সোহান থানা পুলিশের নিকট ঘটনার বর্ণনা দেন।
আহত সোহানের বর্ণনা অনুযায়ী শিবচর থানা পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘাতক কায়েসকে (২০) কুতুবপুর থেকে আটক করেন।
আটকের পর ঘাতক কায়েস প্রাথমিকভাবে পুলিশের নিকট রতনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। কায়েসের স্বীকারোক্তির পর পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে ঢাকা ভাঙা মহা সড়কের কাঠালবাড়ী এলাকাতে দীর্ঘক্ষণ খোঁজ করার পর রাস্তার পাশ থেকে রাত ১২টার দিকে নিহত রতনের লাশ খুঁজে পায়।
নিহত রতন শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের তাহের আকন চরকান্দী গ্রামের জসিম মোল্লার ছেলে। এবং আহত সোহান একই গ্রামের নাসির শিককদারের ছেলে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, ঘাতক কায়েস গত দেড়মাস যাবত কুতুবপুরের তাহের আকন চরকান্দী গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন।
এ ব্যাপারে সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমরা রাত দশটার দিকে জানতে পারি কুতুবপুরে একটি বাচ্চা মিসিং আছে। ইতিমধ্যে সোহান আমাদের কাছে আসে এবং ঘটনা বলে। সোহানের দেয়া তথ্য মতে আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘাতক কায়েসকে গ্রেফতার করেছি। কায়েস প্রাথমিকভাবে ঘটনা স্বীকার করেছে। কায়েসের দেওয়া তথ্যমতে আমরা রতন নামে একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করেছি।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি মোবাইল ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তবে আমরা তদন্ত করে দেখবো এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো রহস্য আছে কি না।
Leave a Reply