ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ১৪৭ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। ১৪৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৬১ রানেই ৭ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জয় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশের। তবে শেষ ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে ৭ রানের জয় এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় তারা। তানজিদ হাসান তামিম ১১ বলে ৬ রান করে আউট হন। ওয়ানডে সিরিজের মতো প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও ব্যর্থ লিটন। ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। দুইজনকেই আউট করেন আকিল হোসেন।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন সৌম্য সরকার। তবে দলীয় ৩০ রানে ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন আফিফ। তার বিদায়ের পর জাকের আলিকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন সৌম্য। জাকের-সৌম্যের ৫৭ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামল দেয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৮৭ রানে ২৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন জাকের। তার বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন সৌম্য। ৩২ বলে ৪৩ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে এসে মেহেদি হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন শামিম পাটোয়ারী। বেশ আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। ১৩ বলে ২৭ রান করে আউট হন শামিম। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ২৪ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদি।
বাংলাদেশের দেয়া মাঝারি লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ব্র্যান্ডন কিংকে তানজিদের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তাসকিন। পরের ওভারে শেখ মাহেদি ফেরান নিকোলাস পুরানকে। ফলে ২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর রস্টন চেস ও জনসন চার্লস মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়া চেষ্টা করেন। তবে ৩৩ রানে ১২ বলে ২০ রান করা জনসনকে আউট করে বাংলাদেশকে ফের সাফল্য এনে দেন মেহেদি হাসান।
এরপর ২৮ রান যোগ করতেই আরও চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চেস ৭, গুড়াকেশ মোটেই ৬, আকিল হোসেন ২ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। একপ্রান্তে উইকেট হারলেও অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রান তুলতে থাকেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গ দেন রোমারিও শেফার্ড। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন পাওয়েল।
শেফার্ডকে নিয়ে ৬৭ রানের জুটি গড়েন পাওয়েল। তবে দলীয় ১২৮ রানে ১৭ বলে ২২ রান করে আউট হন শেফার্ড। এরপরও ম্যাচ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিয়ন্ত্রণে। শেষ ওভারে জয় থেকে ৯ রান দূরে থাকতে আউট হন পাওয়েল। ৩৫ বলে ৬০ রান করেন তিনি। পাওয়ালকে আউট করার পর আলজারি জোসেফকে বোল্ড করেন হাসান। এতেই ১৪০ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। টাইগারদের পক্ষে মেহেদি ৪টি ও তাসকিন-হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
Leave a Reply