ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় দুই শিশু সন্তানসহ এক নারী বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন, সদর উপজেলার ঘাটুরা সরকার বাড়ি এলাকার আশরাফ মিয়ার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৪), তার দুই কন্যা রওজা (৫) ও নওরিন (৩)।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় আট বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের কদু মিয়ার মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের সরকার বাড়ির মারাজ মিয়ার ছেলে আশরাফ মিয়ার বিয়ে হয়। আশরাফ নেশাগ্রস্ত হওয়ায় সাংসারিক খরচ নিয়ে প্রায় সময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত।
নিহত শারমিন আক্তারের মা রেজিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়ে ও দুই নাতনিকে হারিয়ে আমার কোল খালি হয়ে গেল। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে আমি কিছুই জানি না। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে দায়ীদের বিচার দাবি করছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন মিতুল বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রথম এক নারীকে আনা হয় বিষ খাওয়া অবস্থায়। তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর দুই শিশুকে আনা হয়। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়েরও মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের স্টাফরা জানান, স্ত্রী ও দুই শিশুকে নিয়ে স্বামী আশরাফ হাসপাতালে আসেন। তার সঙ্গে থাকা স্বজনরা জানিয়েছেন স্ত্রী তার দুই সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজে বিষপান করেন। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তারা বলতে পারেননি। তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর স্বামীসহ অন্যরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
Leave a Reply