সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জোড়া খুনের মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আটজনকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে
আজ রোববার দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা তৃতীয় আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন।
সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা তৃতীয় আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) হামিদুল ইসলাম দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলার চক পাঙ্গাসী গ্রামের আক্তার প্রামাণিকের ছেলে হাসানুর হাসু (৪৫), একই গ্রামের হাজি আফাজ উদ্দিনের ছেলে কাওছার আলী, দেল মাহমুদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন রিন্টু ও মৃত লাজেমুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জালিম।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের আশরাফ (৫০), মোতালেব (৪০), রেজাউল (৩২), দুলাল (৩৫), মনিরুল (৩০), সাদ্দাম (২৮), বেল্লাল (৫০) ও আওয়াল (৩০)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলার চকপাঙ্গাসী গ্রামের সাইফুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল কালামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি সকালে সাইফুল ইসলাম তার ভাই সোনা মিয়া, আবুল কালাম, মকবুল হোসেনসহ অন্যরা বাড়িতে বসেছিলেন। এ সময় আসামি হাসানুর রহমান হাসুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা লাঠিসোঁটা, দেশীয় অস্ত্রসহ লোকজন নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় তারা মকবুল হোসেন, আবুল কালাম, সাইফুল ইসলাম ও সোনা মিয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া ও সাইফুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে তাদের প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ঢাকায় পাঠায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন ও সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫১ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ২১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
Leave a Reply