উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়া চৌড়হাসে কনফিডেন্স আউটসোর্সিং লিঃ এর চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বাবর তার অফিসের এক তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসায় রাখতেন। সেখানে প্রায় যাওয়া আশা করত বাবর। তরুণী সর্বস্ব হারিয়ে এখন বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
জানা যায়, কলসেন্টারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কনফিডেন্স আউটসোর্সিং লিঃ এর চেয়ারম্যান প্রতারক মেহেদী হাসান বাবর। এবিষয়ে গত সোমবার সকালে কুষ্টিয়া চৌড়হাসে “আমাদের টাকা ফেরত চাই, অফিস বন্ধ চাই”, “অফিসের সাথে জড়িত সকল প্রতারকদের শাস্তি চাই” সহ বিভিন্ন শ্লোগান লিখে বুকের সাথে ধরে কনফিডেন্স আউটসোর্সিং লিঃ এর অফিসের নিচে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী কুষ্টিয়া মিলপাড়া এলাকার এক ব্যাক্তি জানান, প্রথমে অনলাইনে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কনফিডেন্স আউটসোর্সিং লিঃ অফিসে যায়। সেখানে আমার কাছ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি চাকুরী পাবার আশায় সেই টাকা দি। তবে পরে দেখতে পাই তারা আমাদের দিয়ে এভাবে বিভিন্ন বিভিন্ন বেকারদের এখানে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসলে সেখান থেকে কমিশন দেন। কোন বেতন দেয় না। এভাবে একের পর এক বেকার যুবক যুবতীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
কনফিডেন্স আউটসোর্সিং লিঃ এর সাবেক সেই তরুণী জানান, আমি আমার পরিচিত এক ভাইয়ের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে আশি। তখন আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেই। আমাকে রিসিভশনে চাকরি দেয়। অফিসের চেয়ারম্যান নিজে আমাকে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে দেয়। চাকরি চলমান অবস্থায় একদিন জানতে পারি সে আমাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এই বাসায় রেখেছে।
এবিষয়ে মেহেদী হাসান বাবর এর সাথে কথা বললে সে আমাকে বলে স্ত্রী পরিচয় না দিলে বাসায় থাকতে দেবে না। এর কিছুদিন পর আমাকে বেশ কয়েকদিন আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে ধর্ষণ করে। আমি নিজের সম্মানের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলতে পারিনি। এখন দেখছি আরো মেয়েরা এই লম্পটের লালসার শিকার না হয় সে জন্য এখনি প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
তিনি আরো বলেন, এই অফিসে প্রতি মাসে ৩০/৩৫ জন কলসেন্টারে চাকরির আশায় টাকা দেয়। পরে বলে প্রতি ক্লাইন্ট দিলে পাবেন ১ হাজার টাকা কমিশন। এছাড়া বেতন পাবেন না। প্রায় বছরখানেক আগে এই অফিস চলছে। মেহেদী হাসান বাবরের বাড়ি মেহেরপুর জেলায়। সে এখনো আমাকে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাকে বাবার ফোন দিয়ে মিমাংসা করতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।
Leave a Reply