কুষ্টিয়ার খোকসায় চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসালয় থেকে চর্মরোগের চিকিৎসা নিয়ে একদিনে দুই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অসুস্থদের মধ্যে একজন কথা বলতে পারছেন না।
গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর অসুস্থ হয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন জসিম উদ্দিন (২৫)। তিনি অনলাইনের কাজ করেন এবং কমলাপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। তিনি কথা বলতে পরছেন না।
অপরজন খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম (৬৫)। তিনি হিলালপুর গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। তাদের দুজনেরই শ্বাসকষ্ট রোগের উপসর্গ রয়েছে।
ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে জসিম উদ্দিন কোমরে দাউদ জাতীয় চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে উপজেলা সদরের মনামি সিনেমা হল মার্কেটের চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসালয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত বিপ্লব কান্তি পোদ্দার বাবলু তার শরীরে কয়েকটি ইনজেকশন পুশ করেন। সঙ্গে একটি ব্যবস্থাপত্রও ধরিয়ে দেন। রোগী বাড়ি ফিরে ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাতে একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত জসিম কথা বলতে পারছিলেন না।
একইদিন দুপুরে ওই চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসালয় থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম। তার শরীরেও কয়েকটি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে একই ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। চিকিৎসা নিয়ে তিনিও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়া জসিমের স্ত্রী শামীমা সূলতানা জানান, তার স্বামী মাজায় (কোমর) চর্মরোগে আক্রান্ত। শনিবার প্রথম ওই চাঁদসী ক্ষত চিকিৎসালয়ে যান। প্রথম দিনই তার স্বামীর শরীরে একাধিক ইনজেকশন পুশ করেন। এছাড়া কয়েক প্রকার ওষুধ দেওয়া হয়। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়
অসুস্থ সাবেক মেম্বার আবুল কাশেম জানান, তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্টের রোগী। ইনজেকশন নিয়ে বড়ির ফিরে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এখন একটু সুস্থ হয়ে উঠছেন।
বিপ্লব কান্তি পোদ্দার বাবলু দুই রোগীকেই চিকিৎসা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে তিনি রোগীদের শরীরে ইনজেকশন পুশ করেননি দাবি করে বলেন, এটি কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুষ্মিতা বিশ্বাস জানান, রোগীদের শ্বাষকষ্টজনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply