1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
৭ বিয়ে করা সেই রবিজুল মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার কনের পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট সাজিদ আবদুল্লাহ মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি হাটশ হরিপুরে ভোরের পাখি আয়োজিত চায়নাবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুর থেকে ইবি শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার কুষ্টিয়া পৌরসভায় বেতন ও বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বিক্ষোভ গড়াই নদ খননে ড্রেজারের কোটি টাকার তেল আত্মসাতের অভিযোগ কুষ্টিয়ায় মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেলের বিরুদ্ধে চলছে বিভাগীয় তদন্ত কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে ভাবিকে ধর্ষণ, দেবর নাইম কারাগারে ঝিনাইদহের আলোচিত তিন খুনের মামলায় শীর্ষ চরমপন্থী লিপটন রিমান্ডে
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

৭ বিয়ে করা সেই রবিজুল মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার

  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫
  • ১ মোট ভিউ

আর্থিক প্রতারণা ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাত বিয়ে করা সেই রবিজুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২০ জুলাই) সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মানবপাচার ও আর্থিক প্রতারণার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান।

গ্রেপ্তারকৃত রবিজুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের পাটিকাবাড়ি গ্রামের মিয়াপাড়ার আয়নাল মণ্ডলের ছেলে।

সাতজন নারীকে বিয়ে করা ও একসঙ্গে ঘরসংসার করায় রবিজুল ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত। তিনি ১৫ বছর লিবিয়াতে ছিলেন এবং মানবপাচার চক্রের সদস্য। কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিদেশে ভালো বেতনে চাকরির কথা বলে লিবিয়ায় পাঠিয়ে তাদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিজুলের প্রলোভনে পড়ে ভালো বেতনে চাকরির জন্য লিবিয়ায় যান কুষ্টিয়ার তানজির শেখ (২২)। এরপর সেখানে মানবপাচার চক্রের কাছে তাকে বিক্রি করে দেন রবিজুল। মানবপাচার চক্রের টর্চার সেলে দীর্ঘ ৯ মাস বন্দি রাখা হয় তানজিরকে। সেখানে তাকে অমানবিক নির্যাতন করা হয়। ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না, বেঁধে রাখা হতো, তিনবেলা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হতো। বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারপিটের ভিডিও পরিবারকে পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করা হতো। অবশেষে মুক্তিপণ নিয়ে তানজিরকে ছেড়ে দিয়েছে মানবপাচার চক্র। গত ৯ জুলাই দেশে ফিরেছেন তানজির শেখ।

তানজির কুষ্টিয়া পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের জগতী স্টেশন বাজার এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে। আড়াই বছর আগে কুষ্টিয়ার রবিজুল দালালের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট ভিসায় লিবিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে দফায় দফায় ৩৪ লাখ টাকা নিয়েছে রবিজুল। সেসব টাকা ফেরত ও রবিজুলের শাস্তি চায় ভুক্তভোগী পরিবার।

রবিজুলের খপ্পরে পড়ে নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী যুবক তানজিরের ওপর চালানো নির্মম, নৃশংস নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গত ১২ জুলাই ‘লিবিয়ায় নির্যাতন: ‘খাবার দিতো না, তিনবেলা শুধু মারতো শিরোনামে ঢাকা পোস্টে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তাকে আইনের আওতায় আনতে মাঠে নামে পুলিশ। ট্যুরিস্ট ভিসায় বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে মানবপাচার ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে রবিজুলের নামে।

তানজির শেখ বলেন, রবিজুল লিবিয়াতে দীর্ঘ ১২ বছর ছিলেন। মাফিয়া চক্রের সঙ্গে রবিজুল দালালের সুসম্পর্ক। তিনিও ওই চক্রের সদস্য। আমার বাবা রবিজুলের মাধ্যমে আমাকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেন রবিজুল। মুক্তিপণের দাবিতে আমাকে তারা ৯ মাস বন্দি করে রেখেছিল। বেঁধে রাখতো, তিনবেলা লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হতো। নির্মমভাবে নির্যাতন, মারপিট করা হয়। কঠোর অত্যাচার করা হতো। খাবার দিতো না, তিনবেলা শুধু মারতো। মারতে মারতে শরীর ফাটিয়ে ফেলত। ক্ষত জায়গায় ইনফেকশন হয়ে পচে যেত। কোনো ওষুধ দিত সারাদিনে ৫ টাকা দামের একটা পাউরুটি ও অল্প একটু লবণাক্ত পানি খেতে দিত। লবণাক্ত পানি খাওয়ার কারণে শরীর আরও বেশি পচে যেত। না খাওয়ার কারণে শরীর একদম শুকিয়ে যায়। সব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এজন্য মার খেতে খেতে অনেকে মরে যায়। মনে হতো আমিও মারা যাবো। রবিজুলের খপ্পরে পড়ে আমি মরতে বসেছিলাম। রবিজুল আমাদের কাছ থেকে ৩৪ লাখ টাকা নিয়েছে। আমি টাকা ফেরত চাই, একই সঙ্গে রবিজুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক।

এই চক্র সম্পর্কে তানজির আরও বলেন, লিবিয়ার ওই মাফিয়া চক্রে ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছে। তাদের মধ্যে ৫/৭ জন লিবিয়ার নাগরিক। প্রধান মাফিয়া লিবিয়ার আলী। উনি ওসামার ভাগ্নে বলে পরিচিত। মাফিয়া চক্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন যুক্ত আছেন। তাদের বাসা মাদারীপুর, সিলেট ও শরীয়তপুর। তাদের মধ্যে একজনের নাম পিচ্চি সোহেল, তার বাড়ি মাদারীপুর আর কুষ্টিয়ার রবিজুল।

তানজিরের বাবা সিরাজ শেখ বলেন, ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে আমার ছেলেকে লিবিয়ায় পাঠায় রবিজুল। তার সঙ্গে ১১ লাখ টাকার চুক্তি ছিল। প্রথমে ৫ লাখ টাকা দিই, এরপর আমার ছেলেকে লিবিয়ায় পাঠিয়ে দেন। এরপর বাকি ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করি। এরপর ইতালি পাঠানোর কথা বলে আমার ছেলেকে মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেন। ছেলে বন্দি থাকা অবস্থায় রবিজুল আরও ২৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এর কিছুদিন পর রবিজুল বাড়ি থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান। এরপর নলখোলা গ্রামের আলামিন নামে একজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আমার ছেলেকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা করবে বলে প্রলোভন দেয়। তিনি ১৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। এতে কোনো কাজই হয়নি। এরপরে মাফিয়াদের ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে আমি আমার ছেলেকে ছাড়িয়ে এনেছি। রবিজুল ও আলামিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। একই সঙ্গে আমি আমার টাকা ফেরত পেতে চাই।

তানজিরের মতো অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেন রবিজুল। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন—এমন খবর পেয়ে ইবি থানায় বেশ কয়েকটি ভুক্তভোগী পরিবার ছুটে এসেছে। তারা তাদের পাওনা টাকা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

ভুক্তভোগী ১২টি পরিবারের মধ্যে মাহাবুল আলম নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমার ভাগিনা আসিফকে সাড়ে ১৫ লাখ টাকায় ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে যায় রবিজুল। সেখানে নির্যাতন করে মুক্তিপণ নিয়ে আবার দেশে ফেরত পাঠান। রবিজুল ৬০ থেকে ৭০ জনের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন। প্রতারণার শিকার প্রত্যেকের আত্মীয়স্বজন থানায় ভিড় জমাচ্ছেন। আরও অনেক ভুক্তভোগী আসছেন। প্রত্যেকে রবিজুলের কঠোর শাস্তি দাবি করে তাদের টাকা ফেরত পেতে চায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, লিবিয়ায় ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভনদেখিয়ে আর্থিক প্রতারণা ও মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক প্রতারণা ও মানবপাচারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে মামলা রয়েছে। ইবি ও সদর থানায় ৫/৬টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আলমডাঙ্গা, কুমারখালীসহ বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। সব অভিযোগ আমরা তদন্ত করে দেখছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com