সত্যখরর ডেস্ক : সন্ধ্যা নামার আগেই দল বেঁধে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকে পড়ছে বসতবাড়ি,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র এ চিত্র দেখা মিলছে কুষ্টিয়া শহরে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন পৌরবাসী।
পৌরসভার ওয়ার্ডের বেশকিছু ড্রেন খোলা অবস্থায় রয়েছে। পুরনো ড্রেনেজের পাশাপাশি নতুন ড্রেনগুলোতেও কোথাও কোথাও ঢাকনা নেই। দীর্ঘদিন ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মশা নিধনে উদ্যোগ না থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগে মশা নিধনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলেও জানিয়েছেন পৌরসভার বাসিন্দারা। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, বছরজুড়েই মশা নিধনে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতবছর শুধুমাত্র ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েই এ জেলায় ২৯জনের মৃত্যু হয়েছে।
পৌর বাসিন্দা হাফিজ অভি বলেন, মশা নিধনে ধারাবাহিক উদ্যোগ না থাকায় হঠাৎ করেই মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে পৌর এলাকায়। অতি দ্রুত বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে মশা নিধনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। তাই মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাসেল পারভেজ বলেন, এরআগে প্রতিমাসে মশা নিধনে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হলেও এটি আর এখন চোখে পড়ে না আমাদের। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই খোলা ড্রেনেজের কারণে পৌর এলাকায় বাড়ছে মশার উপদ্রব। অপরিচ্ছন্ন ড্রেন, জমা পানি আর আর্বজনার কারণে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু বাড়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। তাই বলবো পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত মশা নিধনে কার্যকরী পদক্ষেপ নিবেন বলেই আশা করছি।
পৌর বাজারের দোকানি বিপ্লব মাহামুদ বলেন, সন্ধ্যা নামার আগেই ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকে পড়ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। পৌর এলাকার মূল সড়কের পাশে ড্রেনেজের বিভিন্ন অংশও ঢাকনাবিহীন রয়েছে। এতে পথচারীদের প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। মশানিধন কার্যক্রম দ্রুতই জোরদার করতে দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহামুদ রেজা চৌধুরী বলেন,ওয়ার্ড গুলোর কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রতিদিনই পরিচালনা করা হচ্ছে। কিছু অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে
আমরা বসে নেই, মশা প্রতিরোধে নিয়মিত সচেতনতার কাজটি করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ড এলাকায় ঔষধ ছিটিয়ে মশার আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, অতি দ্রুত মশানিধনে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন আকুল উদ্দিন বলেন, মশা নিধনে আমাদের পক্ষ থেকে সচেতনতার বৃদ্ধির যে কার্যক্রম সেটি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply