1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
হত্যার স‌ন্দেহ হওয়ায় গোরস্থা‌নে যাওয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ অস্থির বাজার, দেশের বড় চালের মোকামে অভিযান ভিজিএফের কার্ড নিয়ে বিরোধে যুবক খুন, বিএনপি কর্মী গ্রেফতার কুমারখালীতে দুই হোটেল মালিককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হাসপাতালে ভর্তি দুই রোগী, কথা বলতে পারছেন না একজন কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালক সেজে হত্যা মামলার আসামিকে ধরলো পুলিশ কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কুষ্টিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর সাংবাদিকদের স্মারকলিপি প্রদান কুষ্টিয়ায় ঘুমের মধ্যেই সাপের কামড়, যুবকের মৃত্যু
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

ইসলাম হজ ব্যবস্থাপনায় যে পরিবর্তন এনেছে

  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, ১২ জুন, ২০২৪
  • ২১৩ মোট ভিউ

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম আসার আগেই হজের প্রচলন ছিল। শরিয়তে হজ কখন ফরজ হয়েছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের ভেতর মতভিন্নতা আছে। তবে আল্লামা ইবনুল কাইয়িম জাওজি (রহ.) দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, নবম বা দশম হিজরিতে হজ ফরজ হয়েছিল। তিনি লেখেন, ‘এ বিষয়ে কোনো বিরোধ নেই, হিজরতের পর নবীজি (সা.) শুধু একবারই হজ করেছিলেন।

তা হলো বিদায় হজ। এ বিষয়েও কোনো বিরোধ নেই, বিদায় হজ দশম হিজরিতেই হয়েছিল। আর এ বিষয়েও কোনো সন্দেহ পোষণের সুযোগ নেই যে হজ ফরজ হওয়ার পর তিনি কোনো বিলম্ব ছাড়াই তা আদায় করেছেন।’ (জাদুল মাআদ)

ইসলাম হজ ব্যবস্থায় যে পরিবর্তন আনে
রাসুলুল্লাহ (সা.) হজের বিধি-বিধানকে শিরক, কুসংস্কার ও বিদআত মুক্ত করেন।

নিম্নে হজ কার্যক্রমে নবীজি (সা.)-এর সংস্কারগুলো তুলে ধরা হলো—

১. কাবাঘরকে মূর্তিমুক্ত করা : রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়ের পর কাবাঘরকে মূর্তিমুক্ত করেন। তখন কাবাঘরে ৩৬০টি মূর্তি ছিল। কথিত আছে, এসব মূর্তি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল ও কবিলার প্রতিনিধিত্ব করত। রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা বিজয়ের পর কাবা চত্বরে প্রবেশ করেন।

তিনি একটি ধনুকের সাহায্যে মূর্তিগুলোকে খোঁচা দিচ্ছিলেন এবং পাঠ করছিলেন, ‘সত্য সমাগত, মিথ্যা দূরীভূত আর নিশ্চয়ই মিথ্যার বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।’

(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৮১)

তখন একেকটি মূর্তি মুখ থুবড়ে পড়ছিল। এ সময় কাবাঘরে টাঙানো কিছু ছবিও ধ্বংস করা হয়। (নবীয়ে রহমত, পৃষ্ঠা-৩৩৮)

২. তাওয়াফের বৈষম্য দূর : জাহেলি যুগে কেবল কুরাইশ, তাদের বংশোদ্ভূত ও মিত্ররাই কাপড় পরিধান করে তাওয়াফের অনুমতি পেত। অন্যদের উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করতে হতো, নতুবা হুমসদের কাছ থেকে কাপড় কিনে বা ধার নিয়ে তা পরে তাওয়াফ করত।

ইসলাম এই বৈষম্য দূর করে এবং উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে নিষিদ্ধ করে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তারা কোনো অশ্লীল আচরণ করে তখন বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষকে এটা করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এটার নির্দেশ দিয়েছেন। বলো, আল্লাহ অশ্লীল আচরণের নির্দেশ দেন না। তোমরা কি আল্লাহ সম্পর্কে এমন কিছু বলছ, যা তোমরা জানো না?’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৮)

৩. হাত বেঁধে তাওয়াফ না করা : জাহেলি যুগের মানুষ বিশ্বাস করত তাওয়াফ করার সময় তারা পরস্পরের হাত কিছু দিয়ে বেঁধে নিলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে। ইসলাম এই রীতি নিষিদ্ধ করেছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বাইতুল্লাহর তাওয়াফের সময় এক ব্যক্তির কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন, সে চামড়ার ফিতা বা সুতা অথবা অন্য কিছু দ্বারা আপন হাত অপর এক ব্যক্তির সঙ্গে বেঁধে দিয়েছিল। নবী (সা.) নিজ হাতে তার বাঁধন ছিন্ন করে দিয়ে বললেন, হাত ধরে টেনে নাও।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৬২০)

৪. কাবাঘর ছাড়া অন্য কিছুর তাওয়াফ নিষিদ্ধকরণ : আরবরা শুধু কাবাঘরের তাওয়াফ করত না, বরং একাধিক ঘর, দেবালয়, পাথর ও স্থাপনার তাওয়াফ করত। এগুলোকে তারা কাবাঘরের সমকক্ষ মনে করত। যেমন বনি সাকিফ গোত্রের স্থপতি দেবতা লাতের মন্দির। রাসুলুল্লাহ (সা.) কাবাঘর ছাড়া অন্য সব কিছুর তাওয়াফ নিষিদ্ধ করেন। আবু সুফিয়ান ও মুগিরা (রা.)-কে পাঠিয়ে লাতের মন্দির ধ্বংস করেন। (কিতাবুল মুহাব্বার, পৃষ্ঠা-৩১৫)

৫. পরকালীন দোয়া শিক্ষা : ইসলামপূর্ব যুগে হাজিরা পার্থিব কল্যাণের জন্য দোয়া করতেন। তাঁদের দোয়ায় পরকাল থাকত অনুপস্থিত। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, জাহেলি যুগের লোকেরা হজের সময় কেবল পার্থিব উন্নতির জন্য দোয়া করত। যেমন তারা বলত, হে আল্লাহ! এই বছরকে বৃষ্টি ও সবুজের বছর করুন, সুন্দর সন্তানের বছর করুন, আমাদের সম্পদ ও সন্তান বাড়িয়ে দিন ইত্যাদি। তাদের ব্যাপারে নাজিল হয়, ‘মানুষের মধ্যে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালেই দাও, বস্তুত পরকালে তাদের জন্য কোনো অংশ নেই। আর তাদের মধ্যে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দুনিয়াতে কল্যাণ দাও এবং আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করো। তারা যা অর্জন করেছে তার প্রাপ্য অংশ তাদেরই। বস্তুত আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত তৎপর।’

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০০-২০২;

আদ-দুররুল মানসুর : ১/৫৫৮)

৬. কাবা চত্বরে শিস বাজানো

নিষিদ্ধকরণ : জাহেলি যুগের লোকেরা কাবা চত্বরে মাথা নেড়ে নেড়ে শিস বাজাত। এটাকে তারা নামাজের স্থলাভিষিক্ত মনে করত। ইসলাম কাবা চত্বরে শিস বাজানো ও হাতে তালি দেওয়া নিষিদ্ধ করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘কাবাঘরের কাছে শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাদের নামাজ; সুতরাং কুফরির জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কোরো।’

(সুরা : আনফাল, আয়াত : ৩৫)

৭. সাফা-মারওয়ার সাঈ করা

আবশ্যক : জাহেলি যুগে সবাই সাফা ও মারওয়া সাঈ করা আবশ্যক মনে করত না। যেমন মানাতের পূজারিরা এবং তিহামা অঞ্চলের একদল মানুষ সাঈ করত না। অন্যদিকে ইসলামপূর্ব যুগে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে মূর্তি থাকায় কোনো কোনো মুসলমানের অন্তরে বিষয়টি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। উত্তরে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে ব্যক্তি কাবাঘরের হজ কিংবা ওমরাহ সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সাঈ করল তার কোনো পাপ নেই। আর কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।’

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৮)

৮. ব্যবসার অনুমতি প্রদান : জাহেলি যুগে হজের সময় যারা ব্যবসা করতে বা শ্রমিক হিসেবে মক্কায় আসত তাদের হাজি বলে স্বীকার করা হতো না। তাদের বলা হতো ‘দাজ্জ’। এরা মিনার উপকণ্ঠে গিয়ে অবস্থান করত। ইসলাম আগমনের পর হাজিদের ব্যবসার অনুমতি প্রদান করা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করাতে তোমাদের কোনো পাপ নেই।’

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৯৮)

আল্লাহ সবাইকে তাঁর ঘরের হজ করার তাওফিক দিন। আমিন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com