সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. নিজাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপংকর দেবনাথ।
তিনি জানান, ১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গেলে বিবাদী পক্ষের লোকজন দুই পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামের ফকিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও হামলার ঘটনায় রাতেই তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
মারধরের শিকার পুলিশের এএসআইয়ের নাম মো. নিজাম এবং পুলিশ সদস্য হলেন মো. রাশেদুল হাসান। তাঁরা পান্টি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন—পান্টি ইউনিয়নের ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. রফিকুল আলম (৫০) ও তাঁর ছেলে মো. শাকিল (২০) এবং শফির ছেলে ইউসুফ আলী (২৫)। ঘটনার পর থেকেই তাঁরা পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভালুকা ফকিরপাড়া এলাকার মো. শমসের আলীর ছেলে শাহীন আলমের সঙ্গে অভিযুক্ত রফিকুল আলমের শূন্য দশমিক ১৭৯ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে শাহীন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেন।
শুক্রবার রাতে এএসআই মো. নিজাম ও পুলিশ সদস্য রাশেদুল সেই নোটিশ দিতে গিয়ে বিবাদী রফিকুল ও তাঁর ছেলে শাকিলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রফিকুলের স্ত্রী শাহিদা খাতুন। তিনি জানান, পুলিশ প্রথমে বাদীর বাড়িতে নোটিশ দিতে যান। এরপর সেখান থেকে টাকা খেয়ে এসে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং তাঁর ছেলেকে লাথি মারে। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তি-হাতাহাতি হয়। তাঁর ভাষ্য, তাঁরা পুলিশকে মারিনি, শুধু আত্মরক্ষা করেছেন।
হামলার শিকার এএসআই মো. নিজাম জানান, ১৪৪ ধারার নোটিশ দিতে গেলে বিবাদীপক্ষের রফিকুল, শাকিল ও ইউনুস তাঁদের সঙ্গে অসৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করে এবং মারধর করেছে। তিনি রাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
Leave a Reply