চট্টগ্রামের একটি আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার পথে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পুলিশ হেফাজত থেকে এক কিশোর আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার সকালে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা জানান, উপজেলার আটগ্রাম এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ‘ডলি রিসোর্ট’ নামের একটি হোটেলের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে রোববার বিকাল ৫টার দিকে ওই আসামি পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া আসামির বয়স ১৫ বছর। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
পুলিশ বলছে, পালিয়ে যাওয়া আসামি চট্টগ্রাম ডবলমুড়িং থানার একটি চুরির মামলায় এজাহারভুক্ত কিশোর অপরাধী। আদালতের নির্দেশে তাকে দীর্ঘদিন ধরে গাজীপুরের কিশোর সংশোধনাগারে হেফাজতে রাখা হয়। রোববার চট্টগ্রামের আদালতে ওই মামলায় তার হাজিরা ছিল। সে মোতাবেক তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের হাবিলদার কামরুল ও কনস্টেবল নজরুলের জিম্মায় আদালতে হাজির করা হয়।
হাজিরা শেষে একটি গণপরিবহনে (বাসে) করে আবার তাকে গাজীপুরে নেওয়া হচ্ছিল। পথে গণপরিবহনটি মহাসড়কের ডলি রিসোর্ট হোটেলে যাত্রাবিরতি করে। তখন ওই আসামি হোটেলের একটি বাথরুমে প্রবেশ করে। এরপর দীর্ঘ সময় পরও সে বের না হওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ বাথরুমের দরজায় কড়া নেড়ে ভেতর থেকে বন্ধ পান।
এরপর ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশ দরজা ভেঙে দেখতে পায়, আসামি বাথরুমের ভেন্টিলেটর খুলে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একাধিক দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও তাকে পায়নি।
হাবিলদার কামরুল বলেন, “চট্টগ্রামের আদালতে হাজিরা শেষে গাজীপুরে ফেরার পথে বাসটি হোটেল ডলিতে যাত্রাবিরতি করে। এ সময় আসামি বাথরুমে যাওয়ার কথা বললে আমরা তাকে অনুমতি দেই। কিন্তু সে কৌশলে বাথরুমের ভেতরের ভেন্টিলেটর খুলে পালিয়ে যায়।”
চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি ত্রিনাথ সাহা বলছিলেন, “কিশোর আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি গাজীপুর থেকে আমাকে জানানো হয়। খবর পেয়ে আমাদের একাধিক দল ডলি রিসোর্ট যায়।
“সেখানে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালানো হলেও তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
Leave a Reply