কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে শিশু নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না এবং নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
এ ঘটনায় করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
এ রুলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ৩১ জুলাই তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খোন্দকার এ রিট আবেদন করেন। শুনানিও করেন তিনি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তৈমুর আলম খোন্দকার বলেন, রিটে আমরা প্রতি শিশুর পরিবারের জন্য ন্যূনতম এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছি। তবে রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার একটি অন্তর্র্বতীকালীন নির্দেশনা চেয়েছিলাম। কিন্তু অ্যাটর্নি জোনারেল সময় নিয়েছেন; উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবেন। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
“এ ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিক কমিশন কেন গঠন করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।”
রিট আবেদন করার সময় চার শিশুর নিহতের তথ্য ছিল বলে তাদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে মৃত্যু আরও বাড়ে।
গত বুধবারের শুনানিতে তৈমুর আলম খোন্দকার আদালতকে বলেন, ইউনিসেফের তথ্য অনুযায়ী আন্দোলন চলাকালে এ পর্যন্ত ৩২ শিশু নিহত হয়েছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ‘হেলিকপ্টার’ থেকে চালানো গুলিতে নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করা হয়।
Leave a Reply