কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার মা ও শিশু হত্যা মামলায় ৩ চোরের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত- ১ এর বিচারক সোহানী পূষণ আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন। একই সাথে আসামীদের প্রত্যেকের পৃথক ভাবে ৫০হাজার টাকা অর্থ দন্ডাদেশও দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- দৌলতপুর উপজেলার জোয়াদ্দার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেকেন্দার মোল্যার ছেলে মো: হানিফ মোল্যা-৩২, সোনাইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন মন্ডলের ছেলে আলী আকবর-৩২ এবং সোনাইকান্দি গ্রামের মৃত: শহিদুল মন্ডলের ছেলে লালচাঁদ মন্ডল-৩২। এরা সবাই পেশাদার চোর চক্রের সদস্য বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৭ থেকে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে কোন এক সময়ে বাড়িতে চুরি সংগঠনকালে ঘুমন্ত গৃহবধু দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী ছানোয়ারা বেগম (৪৮)র ঘুম ভেঙ্গে দেখে ফেলায় চোরেরা গৃহবধু ছানোয়ারা বেগমের গলায় মাপলার পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে এবং মা’কে হত্যার দৃশ্য দেখে ফেলায় শিশু রাজ (৮)কেও গলায় গামছা পেচিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যা করে ঘরের মধ্যে লাশ ফেলে রেখে ঘরের দড়জা বাহির থেকে ভিড়িয়ে দিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়। এঘটনায় নিহতের মেয়ে উপজেলার শীতলাইপাড়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী মোছা: পারভীনা খাতুন বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নিশিকান্ত সরকার ৩ জনের বিরুদ্ধে চুরি সংগঠন ও হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের এপিপি এ্যাডভোকেট আবু সাইদ মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, আসামীরা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে ভিকটিমের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দেখে ফেলায় মা ও ছেলেকে হত্যা করেছে মর্মে জবানবন্দি দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
Leave a Reply