গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় শত শত পরিবার ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পরেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় পাল্লাদিয়ে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহধরে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের ফুলমিয়া বাজার দক্ষিনপাশ্বে পুটিমারী এলাকায় ব্যাপকহারে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গনের ফলে শত শত বসত বাড়ী, গাছপালা, আবাদি জমি, মসজিদ-মন্দির, কবরস্থানসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। জমাজমি হারিয়ে অনেকে পথে বসেছেন আবার কেউ কেউ অন্যের বারিতে আশ্রয় নিয়ে অতি কষ্টে জীবন জাপন করছেন। আঃ করিম জানান অতিকষ্টে একটি ঘর নির্মানকরে কোনরকমে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম সে ঘরটাও নদী কেরে নেওয়ায় আমার আর মাথাগুজবার ঠাই নাই এখন আমরা কোথায় থকবো একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ইউপি চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মুকুল বলেন, পুটিমারী এলাকার ভাঙ্গন কবলিত পরিবারগুলো অতিকষ্টে জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা পানী উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর হক জানান শ্রীপুর ইউনিয়নের ০৮ নং এলাকায় ভাঙ্গন রোধের আমরা ইতি মধ্যেই একটি সমিক্ষন কার্যক্রম শেষ করেছি। এঅবস্থায় একটি প্রকল্প তৈরী করে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীনালয়ে পাঠানো হয়েছে প্রকল্পটি পাস হলে ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply