1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের সাত ঘণ্টা পর নারীর মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়াতে বিএনপির অভিযোগ বক্সে এবার ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ কুষ্টিয়ায় প্রভাবশালীদের দেওয়াল ভাঙলো প্রশাসন, স্বস্তিতে ২৫ পরিবার ইকসু ও হল সংসদ নির্বাচন গঠনতন্ত্র বা সংবিধি প্রণয়নের জন্য ১১ সদস্যের কমিটি গঠন সাজিদের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ কুষ্টিয়ায় নকল ওষুধ তৈরি: প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ইবি ছাত্রদলের সদস্য সচিবের মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা দোয়া মাহফিল কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ছয়দিন ধরে বৃদ্ধ নিখোঁজ ক্যাম্পাসে রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে ইবি জিয়া পরিষদের রেইনকোট বিতরণ কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর নারীর মরদেহ উদ্ধার
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ, অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৭৫ মোট ভিউ
৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ, অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে
৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ, অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে

বড় বড় প্রকল্পের নামে ঢালাওভাবে গৃহীত বিদেশি ঋণ সরকারের জন্য বড় ধরনের ফাঁদ তৈরি করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের পর দেখা যাচ্ছে, সেগুলো থেকে প্রাপ্ত সুফল আর্থিক দায়ের তুলনায় নগণ্য; উপরন্তু কর্ণফুলী টানেলের মতো কিছু প্রকল্প এখন সরকারের গলার ফাঁস হয়ে দেখা দিয়েছে। কারণ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পরপরই শুরু হয়েছে সুদাসলে কিস্তি পরিশোধের চাপ। কিন্তু অর্থনীতিতে সুফল মিলছে না। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে দেশের ২০টি বড় প্রকল্পের বিপরীতে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন পরবর্তী সরকারের কাঁধে এ ঋণ পরিশোধের বোঝা চেপেছে।

কত দায় কত পরিশোধ : নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের করা ‘বাংলাদেশের বৃহৎ ২০টি মেগা প্রকল্প : প্রবণতা ও পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণায় দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গৃহীত ২০ মেগা প্রকল্পে যে ৪৩ বিলিয়ন ডলার বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে তার সবচেয়ে বড় অংশ ৩৬ দশমিক ৬ শতাংশ দিতে হবে রাশিয়াকে, জাপানকে দিতে হবে ৩৫ শতাংশ এবং চীনকে প্রায় ২১ শতাংশ অর্থ পরিশোধ দিতে হবে। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও অন্যান্য সংস্থার ঋণ রয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিদেশি ঋণের বকেয়ার যে তথ্য দিয়েছে, তাতে দেখা যায় বাংলাদেশের কাছে ৬২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে দাতা সংস্থাগুলোর। এর বিপরীতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরও ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশি ঋণের দায় পরিশোধ করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কিছু প্রকল্পের বিপরীতে যাচাইবাছাই ছাড়াই বিদেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে। এসব ঋণের কতটা ব্যবহার হয়েছে আর কতটা পাচার হয়ে গেছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিদেশি ঋণগুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবহার হতো তবে অর্থনীতিতে এর সুফল পাওয়া যেত। কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে দেখা যাচ্ছে সেগুলো কোনো কাজেই আসছে না।’ তিনি জানান, খুলনার খালিশপুরে স্থাপন করা হচ্ছে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। কাজ শেষের পথে। এখন দেখা যাচ্ছে, গ্যাস সংকটের কারণে এটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যেতে পারছে না। ফলে এ প্রকল্পে বিদেশি ঋণের সুফল নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।’ বিশ্বব্যাংকের সাবেক এ লিড ইকোনমিস্ট বলেন, ‘প্রকল্পগুলোর বিপরীতে যারা ঋণ নিয়েছেন তাদের যেমন দায় ছিল, তেমন দায় ছিল যারা ঋণ দিয়েছেন তাদেরও। ঋণদাতা সংস্থাগুলো যদি সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করে ঋণ দিতেন তবে বিদেশি ঋণের দায় পরিশোধের বোঝা এত বেশি হতো না। এখন জনগণের করের টাকায় এ দায় পরিশোধ করতে হবে, যে টাকা পাচার হয়ে গেছে।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৈদেশিক ঋণের চাপ সৃষ্টির পেছনে রয়েছে রাশিয়া, জাপান ও চীনের কয়েকটি মেগা প্রকল্প। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের জন্য চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ২ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি হয় ২০১৮ সালে। গত বছরের এপ্রিলে এ প্রকল্পের পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছর থেকেই ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ পড়েছে সরকারের ঘারে। ১৫ বছর ধরে এ ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। ডিপিডিসি প্রকল্পের আওতায় পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণের জন্য ২০১৯ সালে চীনের কাছ থেকে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় সরকার। এ ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হয়েছে গত জুনে। ফলে জুলাইয়ে শুরু হয়েছে কিস্তি পরিশোধের চাপ। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের জন্য নেওয়া চায়নিজ ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে প্রকল্পটি উদ্বোধনের আগেই। প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটিতে চীন ও বাংলাদেশ যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে। ২ শতাংশ সুদে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বেইজিং। গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকেই এ প্রকল্পের কিস্তি পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে। চীনের এসব প্রকল্প ছাড়াও কিস্তি পরিশোধে চোখ রাঙাচ্ছে রাশিয়ার অর্থায়নে নির্মিতব্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর বাইরে ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট মেট্রোরেল লাইন-১, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট মেট্রোরেল লাইন-৫, মতিঝিল-উত্তরা মেট্রোরেল লাইন-৬, ফোর্থ প্রাইমারি এডুকেশন ডেভেলমেন্ট প্রোগ্রাম, শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট প্রশস্তকরণ প্রকল্প, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ যমুনা নদীতে রেলওয়ে ব্রিজ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্প রয়েছে; যেগুলোর বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ প্রতি বছরই যুক্ত হবে।

সূত্র : বিডি প্রতিদিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com