শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নেশার টাকার জন্য ঘুমন্ত অবস্থায় পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাকপ্রতিবন্ধী জাফর সরদারকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের মাদকাসক্ত শ্যালক স্বপন আহম্মেদ শাওনকে আটক করেছে সখিপুর থানা পুলিশ।
আজ শনিবার ভোর ৫টার দিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালি ইউনিয়নের সরদারকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর সরদার একজন পোশাককর্মী। তিনি সরদারকান্দি এলাকার মৃত শাহআলম সরদারের ছোট ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোসাইরহাট উপজেলার আলালপুর ইউনিয়নের গরিবেরচর এলাকার মাদকাসক্ত স্বপন আহম্মেদ শাওন সম্প্রতি নিজের ২৬ দিনের নবজাতক ছেলেকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন দেখে ফেলায় ছেলে প্রাণে বেঁচে যায়। এঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে শাওনের বাড়িতে সালিশ বসে।
পরে সালিশ শেষে রাতেই তার বোনের সঙ্গে শাওন তার ভগ্নিপতি জাফর সরদারের বাসায় চলে যান। রাতে জাফর ও শাওন এক খাটে ঘুমান। পরে শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় জাফরকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। জাফরকে মেরে আলমিরা ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় স্বপন।
সখিপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সকালে তাকে আটক করেন।
নিহত জাফর সরদারের মা আয়েশা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে নেশার টাকার জন্য পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে শাওন। আমার ছেলের কী দোষ ছিল যে এভাবে মরতে হলো! আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
সখিপুর থানার ওসি মো. ওবায়েদুল হক বলেন, নিহত জাফরের মরদেহ সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত স্বপন আহম্মেদ শাওনকে গরিবের চর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply