কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ঘরের দরজা ভেঙে স্বামী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের চড়দামুকদিয়া থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বামী ফরিদুল ইসলামের (৭৪) মরদের ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল ও স্ত্রী রাবিয়া খাতুনের (৫৫) মরদেহ গলায় কাপড় পেঁচানো রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। তারা চড়দামুকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাতে যায় ফরিদুল ও রাবিয়া। তাদের সাড়াশব্দ না পেয়ে বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাদের ছোট ছেলে শরিফুল তাদের ডাকতে থাকে। এসময় তাদের সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ঘরের টিনের চালার বাঁশের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে ফরিদুল ইসলাম ও বিছানায় পড়ে আছে তার স্ত্রীর মরদেহ। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়রা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেয়।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এবং ঘরের দরজা ভেঙে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ফরিদুলের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং রাবিয়া খাতুনকে গলায় কাপড় পেঁচানো, মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের ওপর পড়ে ছিল। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান পুলিশ৷
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply