ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের দোষর স্থানীয় বাসিন্দা শারিরীক ও মানসিক ভারসাম্যহীন মাদকাসক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাসেল দীর্ঘ ১৫ বছর একই স্কুলে কর্মরত থেকে স্কুলটাকে কুক্ষিগত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উপর প্রতিনিয়ত শারিরিক নির্যাতনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কুষ্টিয়ার সদর পৌরসভাধীন ২৬ নং জগতি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোষর ও মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষক রাসেল, সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আরা এবং রাফিজাতুল কোবরার বিরুদ্ধে অভিভাবকগন গত ১৬ই ফেব্রুয়ারী তারিখে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অনুলিপি দিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকতার বরাবর গন পিটিশন দায়েরের মাধ্যমে আবেদন করেন। তাদের দাবী অতি দ্রƒত উক্ত তিন জনকে স্কুল থেকে অতি দ্রুত বদলী করা হোক। যার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় পরিচালকের নির্দেশক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হেমায়েত আলী শাহ উক্ত স্কুলে গত ০৮ই জুলাই মঙ্গলবার দিনব্যাপী প্রধান শিক্ষক সহ অপর দুই সহকারী শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। উক্ত তদন্তে অভিযোগকারী অভিভাবকের প্রত্যেকের কাছ থেকে লিখিত জবানবন্দী নেন তিনি। এসময় স্কুলের ভিতরে ও বাইরে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শারিরীক ও মানসিক ভারসাম্যহীন মাদকাসক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শোনা যায়। সে সময় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সহকারী শিক্ষিকা জেসমিন আরা কান্তাকে পূনরায় অত্র স্কুলে ফিরিয়ে আনার জোর দাবী জানায়। বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থী বলেন, প্রধান শিক্ষক রাসেল তিনি নিজেই জেসমিন আরা কান্তাকে বদলী করে দেন অন্য একটি স্কুলে আমরা চাই তিনি আবার এই স্কুলে ফিরে আসুক, কারন কান্তা ম্যাডাম তিনি একজন ভাল মানের শিক্ষিকা। তারা আরো জানায়, ফ্যাসিষ্ট সরকারের সময় এই একই কারনে তার বিরুদ্ধে চার বার তদন্ত হলেও আওয়ামীলীগ করার কারনে কোন রেজাল্ট পাননি অভিভাবকরা। তারা এটাও বলেন, প্রধান শিক্ষক এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা ও আওয়ামী করার কারনে তার ভাই নাকি ৫ই আগষ্টের পর ১২ টি মামলা খেয়েছে তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা এবং জেসমিন আরা কান্তাকে তিনি নিজেই বদলী করেছেন বলে জানান। এদিকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিবেদককে বলেন, প্রধান শিক্ষক রাসেল স্যার আমাদেরকে প্রতিনিয়ত মারধোর করেন এবং তদন্তে আসা কর্মকর্তাদের কাছে মারধোরের কথা না বলার জন্য ভয়ভীতিও প্রদর্শন করেন। অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর একই প্রতিষ্ঠানে কিভাবে কর্মরত থাকতে পারে আমরা তার অতি দ্রুত বদলী দেখতে চাই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে তার তদন্ত চলছে, তদন্তে যে সিদ্ধান্ত হয় তা আমি মেনে নিব। অন্যদিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, আমি অভিভাবকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ গ্রহন করছি এবং তা তদন্ত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিব তারা যে সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন ওটাই মেনে নিতে হবে।
Leave a Reply