ডেস্ক : কুষ্টিয়ার মিরপুরের মাইক্রোবাস চালককে হত্যা কওে মাইক্রোবাস ছিনতাই এর মামলায় ৭ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। রবিবার বেলা ১২ টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জজ আদালত-০১ এর বিজ্ঞ বিচারক তাইজুল ইসলাম এই রায় প্রাদান করেন। রায় ঘোষনার সময় কাওসার আলী নামের এক আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছেন।
সাজা প্রাপ্তরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার জোড়াদহ গ্রামের রাজিব আলী জোয়াদ্দারের পুত্র মানিক জোয়াদ্দার, কুষ্টিয়ার সদও উপজেলার হরিপুর বোয়ালদহ গ্রামের মুতআফিল উদ্দিনের পুত্র আনোয়ার হোসোন, মাগুরার জাঙ্গালিয়া গ্রামের হাফিজুর মোল্লারপুত্র জাহাঙ্গির মোল্লা, চুয়াডাঙ্গা জেলার ফুল গাজি গ্রামের আজিম আলীর পুত্র সলেমান ওরফে রানা খান, বড় বোয়ালিয়া গ্রামের মৃত লস্কও আলীর পুত্র কাওসার আলী এবং একই জেলার দামুড়হুদা থানার শান্তিপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর পুত্র মশিউর রহমান।
মামলার এজাহার সুত্রেজানা যায়, ২০০৯ সালের ২৮ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার সময় নিজের মাইক্রোবাস যোগে কুষ্টিয়া থেকে হালসার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে কুষ্টিয়া এবং মিরপুরের মাঝামাঝি স্টীল ব্রিজের কাছে গাড়িগতি রোধ কওে গাড়িরচালক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পুটিমারি এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র কাবিজুর রহমান দৌলতকে হত্যা কওে মাইক্রোবাস ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুবৃত্তরা।
ওই ঘটনার পরের দিন কাবিজুরের ছোট ভাই আব্দুর রউফ বাদি হয়ে মিরপুর থানার ইলশামারী গ্রামের হারান মন্ডলের পুত্র বুড়ো কোরবান আলীর নামসহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী কওে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ পুলিশি দতন্তে এই ঘটনায় সাথে ওই ৭ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় মিরপুর থানা পুলিশ।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ দুপুওে বিজ্ঞআদালত এই রায় প্রদান করেন। এই ঘটনায় বুড়ো কোরবানের জড়িত থাকার কোন প্রামান না পাওয়া তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেনআদালত।
Leave a Reply