উইমেন ডেস্ক:মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৬ আশ্বিন ১৪২৮ |
চুয়াডাঙ্গার ফেরিঘাট এলাকায় স্ত্রী শিলা খাতুনের (৩৪) পরকীয়ার কথা জেনে ছুরিকাঘাত করেছেন স্বামী জসিম উদ্দিন। এতে গুরুতর আহত হয়েছে শিলা খাতুন। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের ফেরিঘাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফাহমিদা ফাইম শিলা শহরের শেখপাড়ার আবু কাউসার মধুর মেয়ে।
এদিকে ঘটনার পর রক্তমাখা অবস্থায় স্বামী জসিম উদ্দিন চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে বিস্তারিত জানান। পরে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
আটক জসিম উদ্দীন জেলার আলুকদিয়া চকপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে।
আটক জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের মুদি ব্যবসায়ি মালেকের সঙ্গে আমার স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক চলছিল। দুজনকে একাধিকবার সতর্ক করলেও তারা অবাধে মেলামেশা করে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকালে আমার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করি। আমি নিজেই সদর থানায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলি।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান বলেন, ওই গৃহবধূর ডান হাতে ১৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার বাম হাতের শিরা কেটে হাড় বের হওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হবে। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জমিস উদ্দিনের হাতের পাতা কেটে গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওই গৃহবধূর পরিবার দাবি করেছে, বছর খানেক আগেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে। পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যেই জসিম উদ্দিন তাকে ছুরিকাঘাত করে। তবে বিচ্ছেদের বিষয়টি জসিম উদ্দিন অস্বীকার করেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতের পর রক্তমাখা অবস্থায় নিজেই থানায় চলে এসে আমাদের সব জানায় জসিম উদ্দিন। সে নিজেও ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথামিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।
Leave a Reply