1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

বালির নিচে তলিয়ে গেছে ৪৬টি কাঁচা-পাকা বাড়ি

  • আপডেট টাইমঃ বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ১১৯ মোট ভিউ
কুষ্টিয়ায় জিকের অপরিকল্পিত ড্রেজিং ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থহাসিলের বলি হলেন অসহায় দেড় শতাধিক পরিবার বালির নিচে তলিয়ে গেছে ৪৬টি কাঁচা-পাকা বাড়ি । পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে গড়াই নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থহাসিলের বলি হলেন অসহায় দেড় শতাধিক পরিবার। অপরিকল্পিত ড্রেজিং এর কারণে ঘরের চালা সমান বালিতে তলিয়ে গেছে ৪৬টি কাঁচা-পাকা বাড়ি। ঘর ছেড়ে অন্যত্রে চলে গেছে শতাধিক পরিবার। বর্তমানে ওইসব অসহায় পরিবারগুলোর ঠিকানা খোলা আকাশে নিচে। এমনটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলাধীন চাঁপড়া ইউনিয়নের বহলা গবিন্দপুর এলাকায়। সূত্র জানায়, বর্তমানে যে জায়গাটি বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে তা এক সময় ছিল মালিকাধীন জায়গা। সরকারি খাল খননের জন্য সেই জায়গা অধিগ্রহণ করে জিকে। সেখানে বসবাসরত পরিবারগুলো বাড়ীঘর ভেঙ্গে গড়াই নদীর পাশে নতুন করে বসবাস শুরু করে। কিন্তু ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় তাদের শেষ আশ্রয়স্থল। কোন উপায় না পেয়ে নদীগর্ভে বিলীন হওয়া আশ্রয়হারা অসহায় পরিবারগুলো পুনরায় বসবাস শুরু করে জিকের অধিগ্রহণ নেওয়া জায়গাতে। জীবন যাপনের জন্য কোন রকম বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল তারা। কিন্তু সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আঁতাত করে গড়াই নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারের স্বার্থ হাসিলের বলি হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছে ওই অঞ্চলের প্রায় শতাধিক পরিবার। বালির নিচে তলিয়ে গেছে অর্ধশত বাড়িঘর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার ৪৬টি কাঁচা-পাকা বাড়ির ঘরের চালা সমান করে বালি ফেলা হয়েছে। বালিতে তলিয়ে গেছে টিউবওয়েল, বাথরুম, রান্নাঘরসহ সবকিছু। একজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা হলে তিনি জানায়, এমন ভাবে বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, বাড়ির চাল সমান বালি। টিউবওয়েল, বাথরুম, রান্নাঘরসহ যা কিছু ছিল সব বালির নিচে চাপা পড়েছে। আমরা রোজা আছি না খেয়ে। রান্না করবো কোথায়? তাকিয়ে আছি কে কখন একটু খাবার দিয়ে যাবে, বাচ্চাদের খাওয়াবো আর ইফতার করবো। এভাবে চলতে থাকলে তো ছেলে-মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। ওই এলাকার জনপ্রতিনিধির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেদিন তারা বালি ভরাট করতে আসে, সেদিন তারা বলে পুকুরের যে লেভেল আছে সে লেভেল অনুযায়ী বালি ভরাট করবো। পরে বালির উচ্চতা অনেক বৃদ্ধি পেলে তাদের মানা করা হয়। তারা বলে পাকা বাড়ির সামনে দিয়ে বাধ তৈরি করে বালি ফেলবো, যাতে কোন সমস্যা না হয়। কিন্তু রাতের অন্ধকারে প্রতিটি বাড়ির চাল সমান করে বালি ফেলা হয়। অন্ধকার রাতে ঘর থেকে কোন ভাবে দোঁড়ে পালিয়ে বাঁচে ভুক্তভোগীরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং শাখা) তাজমির হোসেন ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হয়ে মোবাইলে বলেন, আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম পুকুর ভরাট করতে। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম যে বসতবাড়ির চালা পর্যন্ত বালি ভরাট করা হয়েছে। আমি স্বীকার করছি এটা অন্যায় ও অপরাধ। যে কর্মকর্তা দায়িত্বে ছিলো অফিস খুললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com