উইমেন ডেস্ক: কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় কল্যাণপুরের বটতলা বাজারে সংঘটিত এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করছে।নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সেলিম চৌধুরী জানান, আমার নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যার সময় মানুষের সঙ্গে নির্বাচনী বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিল।
এমন সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আমার অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমার নেতাকর্মীরা বাধা দিলে হামলাকারীরা গুলি চালায় এবং আমার কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।এদিকে, বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিল্লাল হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম রকি জানান আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন বটতলা এসে লাভলু মাস্টারের ভাতিজা তাদের কর্মী মাসুদকে তুলে নিয়ে যেতে চায়।
তার আগে তারা লাভলু মাস্টার ও মাসুদের বাড়ি ভাঙচুর করে। সেখানে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিও করে। মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এরপর উল্টো তারা আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত মো. শফিক জানান, আমরা একটা গোলযোগের খবর শুনেছি। সেখানে দুই পক্ষই একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
বিষয়টি তদন্ত করে তারপর সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্যদিকে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে সেখানে ইন্সপেক্টর জাবীদ হাসানকে নতুন ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।আগামী ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রতীকে না থাকলেও উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন বিএনপি নেতারা। একইসঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। প্রায় দিনই কোনো না কোনো ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে।
Leave a Reply