উইমেন ডেস্ক:আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রয়াত শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাদাত এর উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করেন খুলনার খানজাহান আলী থানার পুলিশ।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার জানান, আইনী পক্রিয়ার অংশ হিসাবে ময়না তদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিমের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রয়াত শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর তুলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আশরাফুল ইসলাম জানান মরদেহের বিষয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডের কমিটির লিখিত আকারে মতামত দিয়েছে। সেটি সির্ভিল সার্জন অপর দায়িত্ব পড়েছে। সির্ভিল সার্জন যে সিদ্ধান্ত নিবেন সেই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত হবে বলে তিনি জানান।সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন ফরেনসি ডিপাটর্মেন্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
কারণ ভালো রিপোর্ট পাওয়ার জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।প্রসঙ্গত ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় মারা যান কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিম (৩৮)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান।
ঘটনার দিন দাপ্তরিক কক্ষে সাদমান নাহিয়ান ও তার অনুগতদের অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন ড. সেলিম।এদিকে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আগে পুলিশ নিহতের বাবা শুকুর আলীর কাছে মরদেহটি উত্তোলনের জন্য অনুমতি চাইলে তিনি বলেন, আমি বিচার চাই। আগে মামলা দায়ের করার ব্যবস্থা করেন তারপর লাশ তোলেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।
Leave a Reply