উইমেন ডেস্ক:টিপ ইস্যুতে প্রতিবাদকারী পুরুষদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সিলেটের এক পুলিশ কর্মকর্তা। সেই সঙ্গে নারীর পোশাক নিয়েও নেতিবাচক কথা বলেন। নিজের ফেসবুক আইডি থেকে মন্তব্য করার পর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
সবশেষ এ ঘটনায় সিলেটের সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজ করা হয়েছে। তার নাম লিয়াকত আলী।তিনি সিলেট জেলা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার রাতে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, স্ট্যাটাসের বিষয়টি জেনে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকতকে ক্লোজ করার নির্দেশ দেন এসপি ফরিদ উদ্দিন । সেই সঙ্গে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে লিয়াকত লেখেন- টিপ নিয়ে নারীকে হয়রানির করার প্রতিবাদে অনেক পুরুষ নিজেরাই কপালে টিপ লাগাইয়া প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু আমি ভবিষ্যৎ ভাবনায় শঙ্কিত। বিভিন্ন শহরে অনেক নারীরা যেসব খোলামেলা পোশাক পরে চলাফেরা করেন- তার মধ্যে অনেকেরই ব্রায়ের ওপরের দিকে প্রায় অর্ধেক আন-কভার থাকে। পাতলা কাপড়ের কারণে বাকি অর্ধেকও দৃশ্যমান। এখন যদি কোনো পুরুষ এইভাবে ব্রা পরার কারণে কোনো নারীকে হয়রানি করে তবে কী তখনও আজকে কপালে টিপ লাগানো প্রতিবাদকারী পুরুষগণ একইভাবে ব্রা পরে প্রতিবাদ করবেন?
এরপরই এই স্ট্যাটাস নিয়ে সিলেটে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সন্ধ্যার দিকে সেই স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দেন লিয়াকত আলী।
এ বিষয়ে লিয়াকত আলী বলেন, ওই স্ট্যাটাস আমি ডিলিট করে দিয়েছি। যেটা ডিলিট করে দিয়েছি, যেটার অস্তিত্বই নাই সেটা নিয়ে আমি কথা বলবো না।
স্ট্যাটাস কেন ডিলিট করলেন এমন প্রশ্নে লিয়াকত বলেন, আমার ভালো লাগছিলো তাই দিছিলাম। পরে ভালো লাগে নাই তাই সরিয়ে ফেলেছি। এছাড়া ওটা আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট। এটা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো পেজ না। ব্যক্তিগত ফেসবুকে আমি ব্যক্তিগত মন্তব্য করেছি।
এর আগে গত শনিবার (২ এপ্রিল) কপালে টিপ পরে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। ওই ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর কপালে টিপ পরে ফেসবুকে ছবি আপ করে এর প্রতিবাদ জানান নারী-পুরুষরা।সমালোচনার মুখে এ ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেককে চিহ্নিত করে সোমবার বরখাস্ত করে পুলিশ।
Leave a Reply