উইমেন ডেস্ক:পারিবারিক কলহের জেরে মাদারীপুরের শিবচরে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক নারী খুন হয়েছেন। খুনের পর স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জেলার শিবচর উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের খালেক তালুকদারের ছেলে অটোচালক রাজ্জাক তালুকদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শা আক্তারের (৩০) প্রায়ই ঝগড়া হতো। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮টার সময় রাজ্জাক তালুকদারের সঙ্গে স্ত্রী আয়শার মোবাইলে কথা বলা ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আয়শার পেটে ও নাকে আঘাত করে।ঘরে চেঁচামেচির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে আয়শাকে নিথর অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার কথা বললে রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা আয়শাকে নিজের ইজিবাইকে করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আয়শাকে রেখে রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যান।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল থেকে আয়শার মরদেহ থানা হেফাজতে নিয়েছে। নিহত আয়শা বরিশালের আ. মান্নানের মেয়ে। তার শাওন নামে ৭ বছরের একটি ছেলে ও সিনথিয়া নামে ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
শিবচর থানার এসআই সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, নিহতের শরীরে দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘাতককে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার পেটে ও নাকের ওপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অধিক রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, পারিবারিক কলোহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্বামী উত্তেজিত হয়ে স্ত্রী আয়শাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আয়শা মারা যান। মরদেহটি মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply