উইমেন ডেস্ক : শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড । কিন্তু কুষ্টিয়া যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আপত্তিকর অবস্থায় এক ছাত্র ও ছাত্রীকে দেখে ফেলে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ছাত্র ছাত্রীরা । এই নিয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে । আবার শিক্ষ প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের কর্মকান্ডের বিরোধীতা করেছেন অনেক শিক্ষার্থী । এই ঘটনায় সুষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশাও ব্যক্ত করেছেন অনেকেই ।
এদিকে এই বিষয়ে বিচার চেয়ে অফিস বরাবর আবেদন করেছেন ঐ একই প্রতিষ্ঠানের ৮৯ ব্যাচের ৯ জন ছাত্র ছাত্রী । অভিযোগ উঠেছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
৯ জন ছাত্র ছাত্রী আবেদন সূত্রে জানা যায়, শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর তিনটার সময় একই প্রতিষ্ঠানের গবাদি পশুপালন, হাঁস মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য ও কৃষি বিভাগের ছাত্রী এবং একই বিভাগের এক ছাত্রকে আপত্তিকর অবস্থায় ডেইরী ইউনিটে তারা দেখতে পায় । এছাড়াও শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১ টার দিকে ঐ ছাত্রকে মহিলা হোস্টেলের নীচে দেখা যায় । যা ছাত্র ছাত্রীরা যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান সহকোরী শফিকুল ইসলামকে জানান ।
এদিকে এই বিষয় নিয়ে সরে জমিনে খবর নিতে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত ছাত্র এবং ছাত্রী যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মোঃ আব্দুল জব্বারের রুমে এই বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন । সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর অভিযুক্ত ছাত্র ছাত্রীকে রুম থেকে বের করে দেন ।
পরবর্তিতে ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর মাধ্যমে ঐ ছাত্র ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে আসা হয় এবং তাদের নিকট বাড়ীর ঠিকানা ও নাম্বার চাওয়া হয় । কিন্তু তারা তাদের অভিভাবকের যে নাম্বার সাংবাদিকদের দেন পরবর্তিতে সেই নাম্বারে ফোন দিলে জানা যায় নাম্বার গুলো ভূল দেওয়া হয়েছিলো ।
পরবর্তীকালে এই বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে জানা যায়, ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আব্দুল জব্বার তাদেরকে কৌশলে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছেন । অভিযুক্ত ছাত্র ছাত্রী কোথায় এই বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আব্দুল জব্বার তার কিছু দালাল পাঠিয়ে দেন ।
এই বিষয়ে জানতে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর আব্দুল জব্বারের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, আপনাদের সব কথা আমরা মেনে নিলাম । আপনারা যেটা করতে পারেন সেটা করেন ।
Leave a Reply