রাশিয়ার আলোচিত বিরোধী দলীয় নেতা ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনি কয়েকদিন আগেই মারা গেছেন। তার মরদেহ এখনো পরিবারকে ফেরত দেয়নি রুশ প্রশাসন। এমন অবস্থার মধ্যেই এবার নাভালনির ভাই ওলেগ নাভালনিকে ওয়ায়েন্টেড তালিকায় রাখলো পুতিন প্রশাসন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, গত সপ্তাহে কারাগারে মারা যাওয়া বিরোধী রাজনীতিবিদ আলেক্সি নাভালনির ভাই ওলেগ নাভালনিকে মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ওয়ান্টেড তালিকায় যোগ করেছে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে কেন ওলেগকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে তা বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।
রুশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফৌজদারি অপরাধের কারণে ওলেগ নাভালনিকে এই তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে মস্কোর প্রিওব্রাজেনস্কি আদালত ৪০ বছর বয়সী ওলেগ নাভালনিকে করোনা মহামারির মধ্যে সমাবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধির মানদ- লঙ্ঘনের দায়ে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত জালিয়াতি ও আত্মসাতের মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তিনি।
গত সপ্তাহে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে কারাগারে মৃত্যু হয় রাশিয়ার সবচেয়ে আলোচিত বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির। রাশিয়ার বিরোধী দলীয় সমাজের প্রধান ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। তার সমর্থকরা তাকে ‘রাশিয়ার নেলসন ম্যান্ডেলা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন।
সমর্থকদের আশা ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা যেমন ২৭ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছিলেন ও পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তেমনই নাভালনি এক সময় জেল থেকে মুক্তি পাবেন ও ক্ষমতায় আসবেন।
২০২০ সালে সাইবেরিয়ায় নাভালনিকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা নেওয়ার পর ২০২১ সালে তিনি রাশিয়ায় ফিরে এসেছিলেন নাভালনি। দেশে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply