সত্যখবর ডেস্ক: রমজানের প্রথম দিন কুষ্টিয়ার বাজারে নেমেছিল অনেকগুলো ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল। ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা ছাড়াও শহরের ৫টি দোকানিকে অতি মুনাফার জন্য ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল ঘুরে আসার পরপরই দাম বাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগের কথা বলছে প্রশাসন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে-কুষ্টিয়া পৌরবাজারে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, স্যানিটারি পরিদর্শক সহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার বাজার মনিটরিং করতে দেখা যায়। বর্ধিত দামে বিক্রি হওয়া খেজুর, তরমুজ, শসা, ডালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা এবং আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। পরীক্ষা করেছেন ক্রয়-বিক্রয়ের রশিদ। এরমধ্যে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে তিন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডলের আদালত আরো ২ ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং দল চলে আসার পর পরই এসব ফল, শসা ও মুদির দোকানে আবার অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে পৌর বাজারে কথা হয় সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খানের সঙ্গে। তিনি বলেন- রমজান মাসজুড়েই আমরা মাঠে সক্রিয় থাকবো। প্রথম দিনে সতর্ক করা হয়েছে। সামান্য জরিমানা করা হয়েছে। আমরা আইনের সর্বোচ্য ব্যবহার ২ বছরের জেল ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করতে যাচ্ছি। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে অতি মুনাফার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসবেন ব্যবসায়ীরা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেন- উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার জোরালো মনিটরিং করা হচ্ছে যতক্ষন না মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে আসে।
Leave a Reply