সত্যখবর ডেস্ক:অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ এর দায়ে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ সাইদুর রহমান।
গত বৃহঃবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এই মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-০৩।
মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা হলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫১ ইকবাল রোডের মোঃ বদরুদ্দিন শেখ ও রিতা শেখ এর ছেলে আশরাফ উদ্দিন শেখ ওরফে রনি (৪২)। সে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হিসাবে দায়িত্বরত। মামলায় অভিযুক্ত অপর আসামী হলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার কালিশংকরপুরের (কুতুবউদ্দিন সড়ক) মোঃ আব্দুল আজিজ এর ছেলে মোঃ নওয়াব আলী (৬২)। সে কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আশরাফ উদ্দিন শেখ ওরফে রনি (৪২) কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক পদে কর্মরত থেকেও উক্ত চাকরির তথ্য গোপন করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড, প্রধান কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগে হিসাব সহকারী পদে যোগদান করে গত ১ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং থেকে ৩০ জুন ২০২২ ইং পর্যন্ত বেতন-ভাতা বাবদ ২৩ লাখ ৭ হাজার ৩২ টাকা (২৩,০৭,০৩২) সরকারি অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাৎ করে দন্ডবিধির ৪২০/৪০৯ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অর্থাৎ, মোঃ আশরাফ উদ্দিন শেখ একটি প্রতিষ্ঠানের (কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ) স্থায়ী পদে চাকুরিরত থেকে তথ্য গোপন করে ২য় আরেকটি প্রতিষ্ঠানে (তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লি.) স্থায়ী পদে অর্থাৎ একই ব্যক্তি একই সময়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী পদে চাকরি করেছেন এবং উক্ত অপরাধ সংঘটনে মোঃ আশরাফ উদ্দীন শেখকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিনের স্বাক্ষর একদিনে দেওয়ার সুযোগ দিয়ে ইসলামিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব আলী (৬২) সহায়তা করে দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মামলা বিষয় অবগত বলে জানান। তিনি বলেন, আমি কোন দিনই তিতাস গ্যাসে চাকুরীর জন্য আবেদন করিনি। আমি ন্যাশনাল টীমের ভলিবল প্লেয়ার ছিলাম। ওদেও একটা ভলিবল টীম ছিলো। ঐ টীমে আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম। আমি ৬ বছর খেলে এই টাকাটা নিয়েছি। আমি একটাই চাকুরী করি। আমি এখনো ইসলামিয়া কলেজেই চাকুরী করি।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব আলী বলেন, আমি দেখে ও জেনে আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। মামলার সত্যতা স্বীকার করে দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার সমন্বিত জেলা
কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বলেন, আমাদের যা অভিযোগ তা আমরা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছি। এই মুহুর্তে এর বেশী কিছু বলা সম্ভব না।
Leave a Reply