1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
সভাপতি জিল্লুর রহমান ॥ সম্পাদক হাসিবুর রহমান রিজু আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বঁটির আঘাতে এসআই আহত, আটক ২ জরুরি চিকিৎসাসেবা দিতে ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক-নার্স গত ১ বছরে প্রায় একশত ৩২ কোটি টাকার স্বর্ণ,অস্ত্র ও মাদকসহ চোরাচালানি পন্য উদ্ধার করেছে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কুষ্টিয়া কুষ্টিয়ায় চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের সম্পর্কে জানতে জেলা বিএনপির অভিযোগ বক্স বিপুল পরিমান চায়না দুয়ারি এবং কারেন্ট জাল জব্দ করেছে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)। ৭ বিয়ে করা সেই রবিজুল মানবপাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার কনের পরিবারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট সাজিদ আবদুল্লাহ মৃত্যুতে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ইবি হাটশ হরিপুরে ভোরের পাখি আয়োজিত চায়নাবার ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

ভারতের লোকসভা নির্বাচন : বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার

  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪
  • ১১৮ মোট ভিউ
ভারতের লোকসভা নির্বাচন : বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার

সত্যখবর ডেস্ক:সামনেই ভারতের ৫৪৩ আসনে লোকসভা নির্বাচন। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় জোড় তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিজেপির লক্ষ্য গোটা দেশের ৩৭০টি আসনে জয়লাভ করা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪০০টি আসন। এর মধ্যে বাংলায় ৩৫টি আসনে লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছে তারা। আর তা নিয়েই বিজেপিকে কটাক্ষ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের। দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির চ্যালেঞ্জ ‘আগে ২০০ আসনে জিতে দেখাক তারপরে সাঁতার কাটার স্বপ্ন দেখবে।’

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রবিবার পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ধুবুলিয়ায় প্রথম নির্বাচনি প্রচারণায় এসে বিজেপিকে হারানোর ডাক দেন মমতা। তিনি বলেন, বিজেপিকে বাংলা থেকে এবং দেশ থেকে দূর করুন। আমরা বিজেপির সাথে কোনো কম্প্রোমাইজ করব না। আমাদের পরিষ্কার কথা-বিজেপি যাবে, তৃণমূল থাকবে। বাংলায় একা চলছি, একা চলব। বাংলা থেকে বিজেপিকে বিদায় দেবো।

মমতার চ্যালেঞ্জ ‘বিধানসভা নির্বাচনে ওরা বলেছিল ২০০ পার কিন্তু ৭৭ থেমে গিয়েছিল। পরে ১৫ জন বিধায়ক তৃণমূলে চলে আসে। এবার বলছে ৪০০ পার। আগে ২০০ পার করুক, তারপরে সাঁতার কাটার কথা ভাববে।’

সভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশে মমতার বার্তা ‘আপনাদের স্বার্থেই বাংলায় ৪২টা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতে হবে। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে ভোট দেওয়া, আবার কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানেও বিজেপিকে ভোট দেওয়া। বাংলায় ওরা গো হারা হারবে। তাছাড়া ওদের না হারালে রেশনের চাল বন্ধ করে দেবে। আর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার থাকলে লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, রেশন, কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী কোনো কিছুই বন্ধ হবে না।’

কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে জুমলা, দাঙ্গাবাজ, মিথ্যাচার, কুৎসাকারী দল হিসাবে কটাক্ষ করে তৃণমুল নেত্রী বলেন, ‘বিজেপি থাকলে মানুষ একটা কথাও বলতে পারবে না। ওদের কাজ হচ্ছে মিথ্যা কথা বলা, মুসলিম-হিন্দুর মধ্যে বিভেদ তৈরি করা।’

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সমর্থনে এদিন প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি।

দলীয় প্রার্থী মহুয়াকে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতো বলেই মহুয়াকে টার্গেট করা হয়েছে। ভোটে দাঁড়াবার পরেও মহুয়ার বাড়িতে গিয়ে তদন্তকারী এজেন্সি দিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে, ওর বাবা-মাকে হেনস্তা করা হচ্ছে। আসলে ওদের কাজ হচ্ছে যেমন ভাবেই হোক মহুয়াকে হারানো। কিন্তু শত চেষ্টা করেও মহুয়াকে হারাতে পারবেন না।’

মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীর গৃহবধূ অমৃতা রায়কে বিজেপির প্রার্থী করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মমতা। তার অভিযোগ, ইংরেজ আমলে যারা বেইমানী করেছিল তাদের প্রার্থী করছে বিজেপি। তিনি বলেন, ‘এখানে যিনি দাঁড়িয়েছেন, ইংরেজ আমলে যখন যুদ্ধ চলছিল যে লোকটা লর্ড ক্লাইভের বন্ধু হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধকে খতম করার জন্য…সেই নামটাকে নিয়ে এসে…। মোদি বাবু আপনি কি ইতিহাস ভুলে গেলেন? আবার বলছে রাজমাতা, তিনি কোথা থেকে রাজমাতা হলেন?

কয়দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে গোটা দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালুর ঘোষণা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেই আইন যে পশ্চিমবঙ্গে কোনভাবেই চালু করতে দেওয়া হবে না, তাও এই দিনের সভা থেকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সিএএ চালু করেছে। আসলে সিএএ হচ্ছে মাথা। লেজটা হচ্ছে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি’ (এনআরসি)। সিএএ করলেই এনআরসিতে পড়ে যাবেন। যারা আবেদন করবে, তারা বিদেশি হয়ে যাবে, অনুপ্রবেশকারী ও বাংলাদেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাবেন, নাগরিকত্ব কেড়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেবে। ভুলেও আবেদন করবেন না।’ তার প্রশ্ন ‘২০১৯ সালে এই আইন পাস হয়েছিল তাহলে এতদিন কেন করল না? কেন বিজেপির লোকেরা এতে আবেদন করছেন না? আসলে নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির ভাওতা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

মমতার আশ্বাস ‘মোদির গ্যারান্টি জিরো, আর আমাদের গ্যারান্টি হিরো। মানুষ বঞ্চিত হোক, আমরা চাই না। বাংলায় সিএএ, এনআরসি করতে দেবো না। কাউকে রাজ্য ছাড়া করতে দেবো না।’ তার দাবি ‘দেশ আজ ভালো নেই, গণতন্ত্র বিপন্ন। মহিলা, সংখ্যালঘু, দলিত, কৃষকদের উপর অত্যাচার চলছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com