সত্যখবর ডেস্ক: গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইনে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হয়েছে। শনিবার ভোরে উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি এলাকার একটি সেফটিট্যাংক থেকে জাকারিয়া আলম সম্রাট (১৭) নামে ওই কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জাকারিয়া আলম সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে এবং বোনারপাড়া কাজী আজহার আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পাঁচবাটি এলাকার মিলন মিয়ার ছেলে রিফাত (১৭) সাথে মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে সম্রাটের সাথে একই ক্লাসে পড়ার সুবাদে তাদের বন্ধুত্ব হয়। দু’জনেই এক আপরের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরাসহ তারা একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত করতো। তারা দু’জন অনলাইনে জুয়ায় আসক্ত ছিল। এরই একপর্যয়ে রিফাত জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বন্ধু সম্রাটের কাছে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা বন্ধক রাখে।
কিছু দিন পরে রিফাতের কাছে সম্রাট ক্যামেরার টাকা চাইলে রিফাত দিতে না পাড়ায় সম্রাট ক্যামেরাটি অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়। গত ১৭ এপ্রিল রিফাত টাকা জোগার করে ক্যামেরাটি নিতে চাইলে সম্রাট বিক্রি করেছে বলে জানান। পরে রিফাত কৌশলে সম্রাটকে বাড়িতে ডেকে আনে এবং হত্যা করে তার বাড়ির পাশে রেখে দেয়।
এদিকে সম্রাটের বাবা অনেক খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান না পেয়ে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সাঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পুলিশ শুক্রবার রিফাতসহ আরো এক কিশোরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ রিফাতের বাড়ির পেছনে সেফটিট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরে জাকারিয়ার মা মিনি বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, সেফটি ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার মূল আসামি রিফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ক্যামেরা ভাড়া টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব। ঘটনার কারণ ও এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
Leave a Reply