1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

ভর্তি পরীক্ষায় ইবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৪৩ মোট ভিউ
ফাইল ছবি

সত্যখবর ডেস্ক: নিয়ম অমান্য ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে তালাবদ্ধ ভবনে প্রবেশ করায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আনসার সদস্যরা।

সোমবার প্রক্টর অফিস থেকে প্রশাসনের অবগতির জন্য অভিযোগ রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চত করেন।

আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার ফজলুল হক এবং কুষ্টিয়া আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার আলতাফ হোসেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু শিবলী মো. ফতেহ আলীর বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গুচ্ছের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কারী অফিস ও কন্ট্রোল রুম ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে পরীক্ষার আগের দিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাত ৮ টার পর প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে আইসিট বিভাগের অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আনসারদের বাধা উপেক্ষা করে উক্ত ভবনে প্রবেশ করেন।

এ ছাড়া ‘এ’ ইউনিটের সমন্বয়কারী অফিস ও কন্ট্রোল রুম অনুষদ ভবনে হওয়ায় এ ভবনেও প্রবেশ নিষেধ ছিল। কিন্তু গত ২৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এবং রাত ১১টায় ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদেরকে প্রবেশে বাঁধা দিলেও আনসারদের কথা অমান্য করে প্রবেশ করেন। প্রশাসনিক সিন্ধান্ত অমান্য করে তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে জানান তারা। এমতাবস্থায় জরুরী নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করছেন আনসার সদস্যরা।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ভবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি জানতাম না। কিছু জরুরি কাগজপত্র অফিসে রেখে আসছিলাম। পরে সেগুলো নিতে অফিসে গেলে আনসাররা বলেছিল ভবনে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে আমি প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে আসি। প্রশাসন যদি এটা নিয়ে কোনো কিছু করে তাহলে সে অনুযায়ী আমি আমার মন্তব্য জানাবো। আপনাদের কাছেও (গণমাধ্যমকর্মী) বিষয়টা গেছে এতে আমি একটু অবাক হচ্ছি।

ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বলেন, প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমি রাত আটটার দিকে বিভাগীয় কাজে অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত আনসাররা কিছুই বলেনি। পরে আমার রুমে একজন আনসার এসে বলে যে, প্রক্টর স্যার অনুষদ ভবনে কাউকে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তৎক্ষনাৎ প্রক্টরকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আপনি যেহেতু বিভাগের কাজ করছেন। আপনি থাকেন, কোনো সমস্যা নেই।

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভবনে প্রবেশে নিষেধ ছিল। আনসাররা বলার পরও ওই দুই শিক্ষক জোর করেই ভেতরে ঢুকেছেন। আমাকে যখন তারা ফোন দেন তখন তারা অলরেডি ভেতরে ঢুকে পড়েছেন। পরে ২৭ এপ্রিল আনসারদের অভিযোগসহ নিরাপত্তাকর্মকর্তা আমাকে একটি নোট পাঠায়। আমি সোমবার (২৯ এপ্রিল) এটিকে রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেছি।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com