সত্যখবর ডেস্ক: সুজন রহমান চাকরি করেন কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসার হিসেবে। তবে তার চাকরির কর্মস্থলে ক্ষমতার দাপট দেখান তারই স্ত্রী রোখসানা পারভীন লাকি। চাকরি না করেও শুধুমাত্র স্বামীর কর্মস্থলে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক-শিল্পী ও কর্মচারীরা।
অভিযোগ রয়েছে, স্বামী সুজন রহমান জেলা কালচারাল অফিসার হওয়ার সুযোগেই নিজের কর্তৃত্ব ফলান রোখসানা পারভীন লাকি। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে কোন শিল্পী অংশ নিবেন সেটিও তারই সিদ্ধান্তে। এতে তার অনুসারিরা সুযোগ পাচ্ছেন। স্বামী সুজন রহমান ও রোখসানা পারভীন লাকি আত্মসাৎ, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি চরমে এসে পৌঁছেছে। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করছেন না। আর এরই বলি হচ্ছেন একাডেমির শিক্ষক-শিল্পী ও কর্মচারীরা। জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে চাকরি না করেও স্বামীর কর্মস্থলে স্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহারে হতবাক ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষক-শিল্পী ও কর্মচারীরা। এতে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে খোদ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিক্ষক-শিল্পী ও কর্মচারীরা বলছে, চাকরি না করেও স্বামীর কর্মস্থল নিজের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায়। শিল্পকলা একাডেমীতে বিভিন্ন সময় বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি করা যায়। নিজের খেয়াল খুঁশি মতো একটি বৃহত্তম শিল্পকলা একাডেমী পরিচালনা করা যায়। সবকিছুই করে দেখিয়েছেন জেলা কালচারাল অফিসারের স্ত্রী রোখসানা পারভীন লাকি। স্বামীর কর্মস্থলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে একাধিকবার পুরস্কৃত হয়েছেন। নিজের অনুসারীদেরও দিয়েছেন পুরস্কার। সবটাই করেছেন স্বামীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।
মুখ খুললে তাদের একাডেমিতে না ঢোকতে নিষেধাজ্ঞা দেন রোখসানা পারভীন লাকি। হতে হয় নানা হয়রানির শিকারও। তাই চুপ করে থাকা। তবে চুপ করে থেকে সব থেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে এ জেলার শিল্প-সংস্কৃতি। বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত শিল্পীরা। কালচারাল অফিসার সুজন রহমান ও তার স্ত্রী রোখসানা পারভীন লাকির ব্যাপারে সুষ্ট তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিল্পী ও কর্মচারীরা। এতে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে কথা বলতে রোখসানা পারভীন লাকির সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয় বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply