সত্যখবর ডেস্ক : কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় মুহায়মেনুল ইসলাম খোকনের চড়া সুদের ফাঁদে পড়ে একের পর এক নি:স্ব হয়ে পড়েছেন অনেকেই। তার কাছ থেকে নেওয়া সুদের টাকা দিতে না পারায় মামলা, মারধরও বাড়িঘর হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে, কুষ্টিয়া শহরতলীর পেয়ারাতলা এলাকার মুদি দোকানি আব্দুল মান্নান ব্যবসা করার জন্য মঙ্গলবাড়ীয়ার আলফামোড় এলাকার খোকনের কাছে ব্ল্যাংক চেক জমা দিয়ে মাসিক ২০শতাংশ হারে সুদে ১লক্ষ টাকা নেন। এরপর থেকেই কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েও সুদের মহাজন খোকনের টাকা পরিশোধ হচ্ছে না। খোকনের কাছে দেওয়া ব্ল্যাংক চেকে বাড়তি টাকা লিখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। কোনো মাসে সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হলেই নেমে আসে নির্যাতন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ করা হয় মারধরও।
শুধু আব্দুল মান্নানের সাথেই নয়,একই এলাকার রেজাউলসহ কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন এলাকার অনেকেই সুদের মহাজন খোকনের খপ্পরে পড়ে ব্যবসা বাণিজ্য, ভিটেমাটি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে অনেকে হয়েছেন নিঃস্ব। এই নিয়ে ভূক্তভোগীরা বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি।
ভূক্তভোগী রেজাউল জানান, খোকনের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েই বিপদে পড়েছি। শুধু আমি একাই নয়, আমার মতো অনেকেই সুদের টাকা প্রতিমাসে একদিন দিতে ব্যর্থ হলেই বাড?িঘরের জানালায় ধাক্কা দেয় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমন সুদের মহাজনের হাত থেকে মুক্তি চাই। এদিকে অসহায় মানুষকে সুদ ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচাতে দ্রুত সুদখোরদের তালিকা করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতনমহল।
এ বিষয়ে খোকনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলেই তদন্তে প্রমাণিত হলে সুদের কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply