1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

এখনও ধরা ছোঁয়ার বাইরে সার্ভেয়ার মান্নানসহ কুষ্টিয়া পৌরসভার পঞ্চপান্ডব সিন্ডিকেটের আরও ৪ কর্মকর্তা কর্মচারী

  • আপডেট টাইমঃ সোমবার, ৪ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৭৬ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক: সোমবার, ০৪ অক্টোবর ২০২১, ২০ আশ্বিন ১৪২৮  |

কুষ্টিয়া থেকে বহুল প্রকাশিত “দৈনিক সত্য খবর পত্রিকায় সর্বপ্রথম “ভূয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে গাড়ির হেলপার এখন কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার, দি ইষ্টার্ন মডার্ন সার্ভে ট্রেনিং ইন্সটিটিউট নামটি কাল্পনিক নাম এই শিরোনামে একটি সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বেড়িয়ে আসে মান্নানের জাল সার্টিফিকেটের বিষয়। তখনই প্রশাসনসহ সকল মহল নড়েচড়ে বসে। এরই ধারাবাহিতকায় বিগত ২ শে আগষ্ট ২০২১ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত কুষ্টিয়া পৌরসভার ময়লাফেলার গাড়ির হেলপার জনাব মান্নানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত শিরোনামে একটি চিঠিতে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপ পরিচালক, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ২৯ আগস্ট ২০২১ স্মারক নম্বর: ৪৬.০০.০০০০.০৬৩.২৭.০০১.১৪.৭৩০ মুলে উপপরিচালক স্থানীয় সরকার, কুষ্টিয়া মৃনাল কান্তি দে কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন কিভাবে মান্নান জাল সনদে ২৪ বছর সরকারী চাকরি করতে পারছে? এদিকে বিগত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছা: কামরুন্নাহার এবং কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান এর স্ত্রী মোছা: রুপালী খাতুন এর নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক কুষ্টিয়া।

তাদের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য ও আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ অর্থ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমšি^ত জেলা কার্যালয়, কুষ্টিয়ার উপ-সহকারী পরিচালক নীল কমল পাল বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দুটি করেন। এতে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৮(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা ও দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে এই মামলা থেকে কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার মান্নানের নাম বাদ পড়ায় সবাই অবাক হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, দুদকের মামলায় মান্নানের নাম না আসা একটা অবাক করার মতন বিষয়। তিনি জানান, মান্নানের আরও সম্পদ রয়েছে তার হরিপুর নিবাসী তার শাশুড়ি ও তার মেয়ের নামে। এই কর্মকর্তা দাবি করেন মান্নানের স্ত্রী রুপালী খাতুন কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মান্নানের সম্পৃক্ততা বেড়িয়ে আসবে।

এদিকে নাম প্রকামে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া পৌরসভার একাধিক কাউন্সিলর বলেন, এতদিন কুষ্টিয়া পৌরসবা চলত কয়েক জনের সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এই সিন্ডিকেটের কাজ ছিল ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিভিন্ন অবৈধ সুবিধা গ্রহন করে তাদের অনৈতিক কাজকে স্বীকৃতি প্রদান করা, নিম্ন মানের কাজের বিল কমিশন গ্রহনের মাধ্যমে পাশ করানো, টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া, ডিজাইন পাশ করানো সহ আরও অনেক।

এদিকে এসকল কাউন্সিলরগণ এই সব কাজে সহযোগিতা করার জন্য অভিযোগের আঙুল তোলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষক আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের আলতাব হোসেন ও বিদ্যুৎ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইয়াসমিনের দিকে।কাউন্সিলরগণ নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান, হিসাব রক্ষক আবুল কালাম আজাদ, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের আলতাব হোসেন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইয়াসমিনকে পঞ্চ পান্ডব বলে অভিহিত করেন। তাঁরা বলেন, এই পঞ্চ পান্ডবের সিন্ডিকেট কুষ্টিয়া পৌরসভার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছে। তাদের দূর্নীতির জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যায় করার পরেও কুষ্টিয়া পৌরসভার কোন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মচারী জানান, ৬৭ লাখ টাকা ব্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে কুস্টিয়া পৌরসভার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যে আধুনিক মনোমুগ্ধকর সড়ক বাতি স্থাপন করে তা উপসহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইয়াসমিনের দূর্নীতির কারণে কয়েক মাসও টেকেনি। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করা সড়ক বাতির খুঁটি গুলো সামান্য অটোরিক্সার ধাক্কাও সামলাতে পারেনা আর বাতি গুলো তো জ¦লেই না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পৌর কমিশনার এবং সাধারণ পৌর কর্মচারীরা জানান, পঞ্চপান্ডবের মাত্র একজন নির্বাহী প্রকৌশরী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে। বাকি চার জন উপসহকারী প্রকৌশলী সাবিনা ইয়াসমিন, ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের আলতাব হোসেন, সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান এবং হিসাব রক্ষক আজাদুর রহমান এর বিরুদ্ধেও তদন্ত করলে আসল সত্য বেড়িয়ে আসবে। তাঁরা বলেন, এই ৫ জনই কুষ্টিয়া পৌরসভার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাদের সকলকে শাস্তির আওতায় আনলে কুষ্টিয়া পৌরসভার কলঙ্ক ঘুঁচবে।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুষ্টিয়া পৌরসভার একটি সূত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সেকেন্ড হোম মালয়েশিয়াতে। সেখানে পেনাং শহরে রয়েছে তার আলিশান বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকে নগদ টাকা। এছাড়াও বাংলাদেশের কক্সবাজারের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনে রয়েছে এ্যাপার্টমেন্ট, সিলেটে একটি ফ্ল্যাট ও ঢাকাতে একটি ফ্ল্যাট ও জমি।এছাড়াও তার নিজ গ্রাম কুষ্টিয়ার গোপালপুরে রয়েছে নামে বেনামে শতাধিক বিঘা মাঠান জমি।

সূত্র আরও জানায়, রবিউল তার স্ত্রী এবং সন্তানেরা দেশ ছেড়ে যেকোন সময় মালয়েশিয়াতে পালাতে পারে। উল্লেখ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে দুদকের মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী মোছা: কামরুন্নাহার এবং কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান এর স্ত্রী মোছা: রুপালী খাতুন।

কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে দুদুকের দায়ের করা মামলার বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যেহেতু দুদুক মামলাটি দেখভাল করছে, সে জায়গায় আমার মন্তব্য করার কিছু নেই।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com