1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক দেবে গেছে, জনদুর্ভোগ চরমে

  • আপডেট টাইমঃ শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১০৫ মোট ভিউ

ডেস্ক : দক্ষিণবঙ্গের সাথে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের প্রায় চারশো মিটার দেবে গেছে। সড়কটির কিছু অংশ দেবে যাওয়ার কারণে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা বারোমাইল পর্যন্ত সড়কের প্রায় ৭ কি.মিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার দুপাড়ে কয়েক শত বাস-ট্রাককে রাস্তা পারাপারের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা এই মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। দেবে যাওয়া অংশের দুই প্রান্তের সামান্য এই ৪শ মিটার সড়ক পার হতে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লেগে যাচ্ছে। দেবে যাওয়া এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটছে।

অন্যদিকে, দেখা দিয়েছে চরম ভোগান্তি। সড়ক বিভাগ ইট বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও এতে তেমন কোন সুফল মিলছে না। গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি যেন এখন মহাদুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কটির দেবে যাওয়া এই অংশটি দেখে বোঝার কোন উপায় নেই যে এটি এক সময় মহাসড়ক ছিল। দেখে মনে হবে এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোন এক কাঁচা সড়ক। অথচ এই সড়কটিই হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। জাতীয় সড়কের অংশ গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি প্রায় এক বছর ধরেই খানাখন্দে ভরে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যেই আবার গত দিন দশেক আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া জ্যোতি ফিলিং স্টেশনের কাছ থেকে কবরস্থান পর্যন্ত প্রায় ৪ শ মিটার সড়ক দেবে গেছে। পিচ উঠে গিয়ে কাদামাটি বের হয়ে বোঝার কোন উপায় নেই এটি কোন এক সময় মহাসড়ক ছিল। সড়কটি দেবে যাওয়ায় কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা বারো মাইল পর্যন্ত প্রায় ৭ কি. মিটার সড়কের দুই ধারে প্রায় শত শত বাস-ট্রাকসহ যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
স্থানীয় সড়ক বিভাগের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই বছর দুই মাস আগে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় পণ্য বোঝাই ভারি ভারি যানবাহন চলাচলের মত সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় না রেখেই সড়কটি নির্মাণ করায় কয়েক দিন পর থেকেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে উচুঁ-নিচু হতে দেখা যায়। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে সড়কটি একেবারেই যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, যে স্থানে সড়ক দেবে গেছে তার পাশেই রানাখড়িয়া বালুর ঘাট রয়েছে। প্রতিদিন বালু বোঝাই ভেজা শত শত ভারি ট্রাক এখান দিয়ে মহাসড়কে উঠছে। সে সময় ভারি যানবাহন এই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করবে এমন সক্ষমতার কথা বিবেচনা না করেই মহাসড়কটি নির্মাণ করায় এখন জনসাধারণকে এর খেসারত দিতে হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ জনদুর্ভোগ লাঘবে এই মহাসড়কে ইট বালু ফেলে জরুরি মেরামত কাজ করলেও এর কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

কুষ্টিয়া-সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী থেকে ভেড়ামারা উপজেলার বারো মাইল পর্যন্ত প্রায় ১২ কি. মিটার সড়কটি পুন:নির্মাণের জন্য সম্প্রতি দরপত্র আহবান করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু হবে। সড়কটি পুন:নির্মাণ সম্পন্ন হলে জনদুর্ভোগ নিরসন সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com