1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :

খোকসার এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২
  • ৭৯ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক : কুষ্টিয়ার খোকসা আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ খাঁর বিরুদ্ধে ১৪ বছরে বিদ্যালয়ের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহাবুদ্দিন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকে দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দরখাস্ত অনুযায়ী জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ ১৯৮৭ সালে আমলাবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে থাকেন। আব্দুস সামাদ ২০০৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি না করে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র /ছাত্রী ভর্তি ও বেতনের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। সরকারি ভাবে প্রদত্ত উপবৃত্তির টাকা বিদ্যালয়ের নামে অগ্রণী ব্যাংকের একাউন্ট থেকে ১২/০৮/২০২১ তারিখে দুই চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি সম্পত্তি ১৪ বছরে বিভিন্ন জনের কাছে লিজ দিয়ে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা দরখাস্তকারী সহ বিশ্বনাথ দাস, শরিফুল ইসলাম,, নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তী, হাফিজুর রহমান মার্চ মাসের ১৬ তারিখে প্রধান শিক্ষককে অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আপনারা যা পারেন করেন। যার প্রেক্ষিতে শাহাবুদ্দিন দুদকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দরখাস্ত দিয়েছেন।

দুদকে দরখাস্তকারী সহকারী শিক্ষক শাহাবুদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, দুদক তদন্ত করলেই প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিটি শিক্ষক অতিষ্ঠ। তিনি সুবিচার কামনা করেন।

এ বিষয়ে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা করেননি এবং মোবাইল ফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিদ্যালয়ের অপর সহকারী শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র চক্রবর্তীর সাথে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষকের অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে। দুদকে দরখাস্ত দেবার পর কিভাবে সমাধান হলো বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে গোপগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনা সত্য। বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্য সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে আত্মসাৎ এর টাকার পরিমাণ ৪০ লাখ বা কিছু কমবেশি হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com