1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
হাসপাতালে ভর্তি দুই রোগী, কথা বলতে পারছেন না একজন কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালক সেজে হত্যা মামলার আসামিকে ধরলো পুলিশ কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কুষ্টিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর সাংবাদিকদের স্মারকলিপি প্রদান কুষ্টিয়ায় ঘুমের মধ্যেই সাপের কামড়, যুবকের মৃত্যু জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! কুষ্টিয়ায় শিক্ষকদের সাথে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে র‌্যাবের অভিযানে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার প্রথম দিনের আয়ে রেকর্ড গড়ল ‘তাণ্ডব’
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে অসহায়দের মাঝে ইফতার বিতরণ

  • আপডেট টাইমঃ শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫
  • ৭৩ মোট ভিউ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সার্বিক সহযোগিতায় অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ৫০০ প্যাকেট ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। আজ পবিত্র শুক্রবার ক্লাবের প্রধান কার্যালয়ের সামনে এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

 

এই মহতী উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উপদেষ্টামণ্ডলী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের সার্বিক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনায় কার্যক্রমটি সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে উপদেষ্টাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

 

জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি: একেএম বাদরুল আলম ,সাধারণ সম্পাদক: এসএম রুবেল, সহ-সভাপতি: শাহাদাৎ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক: মুক্তার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক: মোঃ ইয়ামিন হাসান শুভ, এছাড়াও ক্লাবের অন্যান্য সংসদীয় এবং সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকরা এ মহতী কার্যক্রমে অংশ নেন।

 

ইফতার বিতরণ কার্যক্রমের আগে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি একেএম বাদরুল বলেন,

“সাংবাদিকতা শুধু সংবাদ প্রচারই নয়, এটি মানবতার সেবারও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমাদের ক্লাব সবসময় চেষ্টা করে অসহায় নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এই ইফতার বিতরণ কার্যক্রম তারই প্রমাণ। ভবিষ্যতেও আমরা এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাব।”

 

ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক এসএম রুবেল বলেন, অসহায় নিপীড়িত নির্যাতিত গণমানুষের কল্যাণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব “রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এই পবিত্র মাসে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব সবসময় মানবিক কাজকে অগ্রাধিকার দেয় এবং ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।”

 

ইফতার গ্রহণকারীরা ক্লাবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এক সুবিধাভোগী বলেন, “এই ক্লাবের সাংবাদিকরা শুধু কলম হাতে তুলে নেন না, তারা মানবতার সেবাতেও এগিয়ে আসেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।”

 

চিফ উপদেষ্টা সেলিম রেজা বলেছেন, “রমজান হলো আত্মশুদ্ধির মাস, সংযম ও সহমর্মিতার শিক্ষা গ্রহণের মাস। এই পবিত্র মাসে দুস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার বিতরণ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা বিশ্বাস করি, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি পেলে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গড়ে উঠবে। যারা আজকের এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এ ধরনের সামাজিক ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশা করি। আসুন, আমরা সবাই মিলে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য একসঙ্গে কাজ করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই পবিত্র রমজানের বরকত দান করুন এবং মানবসেবার তৌফিক দিন। আমিন।”

 

চিফ উপদেষ্টা আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান বলেছেন, “রমজান আত্মশুদ্ধি ও মানবতার মাস। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের ইফতার বিতরণ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে একটি মহৎ উদ্যোগ। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। আল্লাহ সবাইকে মানবতার সেবায় কাজ করার তৌফিক দিন। আমিন।”

 

উপদেষ্টা গোলাম জাকারিয়া বলেছেন, “রমজান সহযোগিতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের ইফতার বিতরণ কর্মসূচি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রয়াস অব্যাহত থাকুক—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

 

উপদেষ্টা মোঃ চাইনিজ রোফিকুল ইসলাম বলেছেন, “রমজান আমাদের সহমর্মিতা ও মানবতার শিক্ষা দেয়। ইফতার বিতরণ কর্মসূচি সমাজের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি উত্তম উদ্যোগ। সবাইকে নিয়ে একসাথে ভালো কাজ করার এই প্রয়াস অব্যাহত থাকুক—এটাই আমাদের কামনা।”

 

উপদেষ্টা ওবাইদ পাঠান বলেছেন, “রমজান আত্মশুদ্ধি ও দানের মাস। ইফতার বিতরণ কর্মসূচির মাধ্যমে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানো সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সমাজের সকলকে এ ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। আল্লাহ সবাইকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করুন।”

 

ক্লাবের নেতৃবৃন্দ জানান, ভবিষ্যতেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব এ ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বিশেষ করে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের জন্য রমজানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব উপলক্ষে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের।

 

জানা গেছে এসএম রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি শুধু একটি সংগঠনের নেতৃত্বই দেননি, বরং জেলার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ করে ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর দূরদর্শিতা, নেতৃত্বগুণ ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে রিপোর্টার্স ক্লাবটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকদের জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।

 

শুধু দেশেই নয়, এসএম রুবেল ক্রাইম রিপোর্টার হিসেবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁর মানবিক উদ্যোগ ও সহযোগিতার হাত দেশের বাইরেও প্রশংসিত হয়েছে। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জনস্বার্থে তুলে ধরা এবং সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় তিনি সদা সোচ্চার পালন করে আসছেন। তাঁর এই অবদান চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক মহলে যেমন প্রশংসিত, তেমনি তরুণ সাংবাদিকদের জন্যও এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এসএম রুবেলের মতো গুণী ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা থাকলে সাংবাদিকতা সত্যিকার অর্থেই সমাজের দর্পণ হয়ে উঠতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com