উইমেন ডেস্ক ।।বৃহস্পতিবার,১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১ আশ্বিন ১৪২৮ |
পাবনায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু (১৪) হত্যা মামলায় আব্দুল হাদি (৩১) নামের একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে একজনকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় বুধবার বিকালে এই রায় প্রদান করেন। নিহত মিশু পাবনা শহরের শালগাড়িয়া কসাইপট্টি মহল্লার মোটরসাইকেল ব্যবসায়ী মহসিন আলম ছালামের ছেলে ও পাবনা কলেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হাদি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাতি ও বর্তমান পাবনা শহরের রাধানগর নারায়নপুর মহল্লার গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে এবং পাবনা শহরের জনতা ব্যাংকের পিয়ন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী এপিপি (সহকারী সরকারি কৌঁসুলি) সালমা আক্তার শিলু বলেন, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ পাবনা কালেক্টরেট স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র হাবিবুল্লাহ হাসান মিশু প্রাইভেট পড়তে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় মিশু একটি মোবাইল ফোন দিয়ে তার মাকে বলে, সে তার বন্ধুদের সাথে আছে। বাড়ি ফিরতে দেরি হবে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত হলেও মিশু আর বাড়ি ফেরেনি।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, পাবনার রামানন্দপুর একটি লিচু বাগানে তাকে স্টিলের তার দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৪ মার্চ মিশুর বাবা মহসিন আলম ছালাম বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মোবাইল ফোনের কললিষ্ট ধরেই তদন্ত করে আব্দুল হাদি ও সাগর ওরফে সানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গ্রেপ্তার আব্দুল হাদি হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৪৪ ধারায় জবানবন্দী দেন।
দীর্ঘ শুনানির পর হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী আব্দুল হাদী, তা প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। আর সাক্ষ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় সাগর ওরফে সানসহ বাকিদের বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়। আদালতের কাঠগড়ায় আব্দুল হাদী ও সাগর ওরফে সান উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর আব্দুল হাদীকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সনৎ কুমার বলেন, এই হত্যা মামলায় দুজন শিশু আসামি ছিল। যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে। বছরখানেক আগে পাবনার শিশু আদালতে বিচারক রুস্তম আলী একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও অপর একজনকে বেকুসুর খালাস দিয়েছিলেন।
Leave a Reply