উইমেন ডেক্স ।। মঙ্গলবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩ ভাদ্র ১৪২৮ |
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন ২০৩০ সাল খুব সন্নিকটে। নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় খুব বেশি নেই।তিনি বলেন- নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী-পুরুষ সমতা আনয়নে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি জটিল বাধা। প্রচলিত রীতিনীতি, প্রথা, অভ্যাস, আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, লিঙ্গ বৈষম্য নিরসনে নারীশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের প্রসার জরুরি।
স্পিকার বলেন- উদ্ভাবনী নীতি ও আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিক নারী নেতৃত্ব প্রয়োজন।ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ ও অস্ট্রিয়ান পার্লামেন্টের সহযোগিতায় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত উইমেন স্পিকার্স অব পার্লামেন্টের ১৩তম সামিটে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন- বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা সত্ত্বেও আমরা নারীর ক্ষমতায়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছাতে পারিনি। নারীর প্রতি সহিংসতা সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। এজন্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা একান্ত জরুরি।তিনি বলেন- কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নারীদের জন্য উদ্ভাবনী পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি। করোনা মহামারী ও পরবর্তী সময়ে নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে।
স্পিকার বলেন- যথাযথ আইন থাকা সত্ত্বেও এখনো বাল্যবিবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। বাল্যবিবাহ রোধে পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামো মেয়েদের জন্য শক্তিশালী করা প্রয়োজন। নারী নেতৃত্বকে সামনে এগিয়ে নিয়ে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হতে হবে।আলোচনা অনুষ্ঠানে জিম্বাবুয়ের সিনেট প্রেসিডেন্ট ম্যাবেল এম চিনোমনা, ওএসসিই পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলির মার্গারেটা সেডারফেল্ট, স্পেনের কংগ্রেস অব ডেপুটিজের প্রেসিডেন্ট মেরিটজেল ব্যাটেট, উরুগুয়ে জেনারেল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট বিয়াট্রিজ আরজিমন, মোজাম্বিক অ্যাসেম্বলির স্পিকার স্পেরানকা লরিন্দা ফ্রান্সিসকো নিউয়ান বায়াসসহ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্পিকার, বাংলাদেশের সংসদীয় প্রতিনিধিদল বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, রুমানা আলী এমপি, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি ও অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply