উইমেন ডেস্ক: কুমিল্লায় আনোয়ারা বেগম (৪২) নামে এক নারীকে পরকীয়া প্রেম নিয়ে বিরোধে বাটাল দিয়ে হত্যা করেছে তার প্রেমিক। হত্যার পর ওই নারীর লাশ বস্তায় ভরে জেলার দাউদকান্দির মালিখিল গ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। এ ঘটনার মূলহোতা পরকীয়া প্রেমিক মো. কানু মিয়াকে (৫০) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
কানু কুমিল্লা সদরের ধনপুর গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে এবং মঠপুস্কুরিণী এলাকায় মাহি ফার্নিচার মার্ট নামে তার একটি দোকান রয়েছে। ফার্নিচার তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাটাল দিয়ে ভিকটিমের পেটে আঘাতে করে হত্যা করা হয়।দুই সন্তানের জননী নিহত আনোয়ারা বেগম কুমিল্লা সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের আলী আশ্রাফের মেয়ে। তবে তিনি সন্তানদের নিয়ে নগরীর শাকতলা এলাকায় বসবাস করতেন।
হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্লু-লেস এই খুনের রহস্য উন্মোচন করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, কানু মিয়া একাই খুন করেছেন ওই নারীকে। গত রবিবার সকালে দাউদকান্দির মালিখিল গ্রাম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানিয়েছেন র্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, ওই নারীর সঙ্গে কানু মিয়ার দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সে ভিকটিমকে আর্থিক সহায়তা ও ভরণ-পোষণ করে আসছিল। ইতোমধ্যে কানু মিয়া জানতে পারে যে, তার সাথে ছাড়াও ভিকটিমের আরও একাধিক লোকের সাথে ঘনিষ্টতা রয়েছে। এছাড়া বিগত কিছুদিন যাবৎ ওই নারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাবুর্চিদের সাথে রান্নার সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। তবে কানু মিয়ার পছন্দ না হওয়ায় তিনি এই কাজ না করার জন্য ভিকটিমকে বলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে কানু মিয়া র্যাবকে জানিয়েছে, এসব ঘটনার কারণে আনোয়ারার প্রতি তার মনে ক্ষোভ ও প্রতিহিংসার সৃষ্টি হয়। গত শনিবার দুপুরে আনোয়ারা কানুর দোকানে গিয়ে তার বিভিন্ন আর্থিক চাহিদার কথা বললে কানু মিয়া তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এনিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক কথা-কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কানু মিয়া তার দোকানে ফার্নিচার তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাটাল দিয়ে প্রথমে ভিকটিমের পেটে আঘাত করে ক্ষত-বিক্ষত করে। পরবর্তীতে গলায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর কৌশলে লাশ বস্তায় ভরে দাউদকান্দির ওই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
Leave a Reply