1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. admin@wordpress.com : root :
  3. rijukushtia@gmail.com : riju :

প্রেমিকাকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন মুন্না

  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৫ মোট ভিউ
প্রেমিকাকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন মুন্না
প্রেমিকাকে ৬ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন মুন্না

কুমিল্লার তিতাসে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক তরুণীর ছয় টুকরো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অপহরণের ঘটনা সাজাতে প্রেমিক তারেক হাসান মুন্না সংবাদকর্মীদের ভুল তথ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন।

আজ বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাউছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১১টায় কুমিল্লা ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় কুমিল্লা শহর থেকে মুন্নাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মুন্না জানান, জান্নাত তার চাচাত বোন। তাদের এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০১৮ সালে তিনি বিদেশ চলে যান এবং ২০২২ সালে দেশে ফিরলে জান্নাত বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিশ বৈঠক হয়। এক মাস পর তিনি আবার বিদেশ চলে যান। তিনি বিদেশ থাকা অবস্থায় জানতে পারেন, জান্নাতের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এটা জানানোর পর জান্নাত ক্ষিপ্ত হয় মুন্নার ওপর।

মুন্না বলেন, এক বছর পর ২০২৩ সালে আবার দেশে আসি। আমার জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে পরিবার। জান্নাত তখন আমার সঙ্গে এবং আমার পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা করলে বিয়ে না করে আবার বিদেশ চলে যাই। ২০২৪ সালে আবার দেশে আসি এবং অন্যত্র বিয়ে করি। তখন জান্নাত খবর পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমাকে সুখে থাকতে দেবে না। মোবাইল ফোনে হুমকি দিতে থাকে আমাকে দেখে নেবে এবং আমার স্ত্রীকে সব জানাবে। তার এমন কথায় আমি হতাশ হয়ে পড়ি। তখন আমার মাথায় আসে আমি জান্নাতকে বিষয়টি বুঝাব, না হলে মেরে ফেলব।

৫ সেপ্টেম্বর সকালে ফোন দিয়ে জান্নাতকে বলি আমার সঙ্গে দেখা করতে, সে আমাকে বলে গৌরীপুর বাজারে দেখা করবে। বেলা ১১টায় গৌরীপুর বাজারে দেখা করি এবং আমাকে রেখে দেড় ঘণ্টা অন্যত্র চলে যায়। দেড় ঘণ্টা পর আমাকে ফোন দিলে আমরা একসঙ্গে সিএনজি দিয়ে হোমনা চলে যাই, হোমনা ব্রিজে ঘোরাফেরা করি। সন্ধ্যায় সিএনজি দিয়ে আমরা কাঁঠালিয়া গ্রামে যাই। সেখানে একটি ব্রিজে অনেকক্ষণ সময় কাটাই। রাত হয়ে গেলে আমি জান্নাতকে বোঝাতে থাকি, তুমি অন্যত্র বিয়ে করে সুখী হও, আমাকেও সুখে থাকতে দাও। এতে জান্নাত রাজি হয়নি। তখন আমি তার হাতে পায়ে ধরে বোঝাই, সে আমাকে লাথি মারে।

মুন্না আরও বলেন, একপর্যায়ে আমার ব্যাগে থাকা ডাব কাটার দায়ের উল্টো দিক দিয়ে তার মাথায় বাড়ি দিই। পরে কয়েকটা কোপ দিয়ে মাথা আলাদা করে ফেলি। তারপর দুই হাত, দুই পা কেটে আলাদা করে সব কাটা টুকরোগুলো নদীতে ফেলে দিই। পরে মাটিতে লেগে থাকা রক্ত আমার সঙ্গে থাকা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলি এবং পরনের গেঞ্জি ও সঙ্গে থাকা দা, ব্যাগ নদীতে ফেলে দিই।

উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর সকালে জান্নাতুল ফেরদৌসকে (২৫) অপহরণ করেন মুন্না। এ ঘটনায় জান্নাতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে মুন্নাসহ সাতজনকে আসামি করে ৯ সেপ্টেম্বর তিতাস থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com