1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :
শিরোনামঃ
হাসপাতালে ভর্তি দুই রোগী, কথা বলতে পারছেন না একজন কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালক সেজে হত্যা মামলার আসামিকে ধরলো পুলিশ কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কুষ্টিয়ায় সড়কে প্রাণ গেল ছাত্রদল নেতার রাজশাহী প্রেসক্লাব অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের বরাবর সাংবাদিকদের স্মারকলিপি প্রদান কুষ্টিয়ায় ঘুমের মধ্যেই সাপের কামড়, যুবকের মৃত্যু জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! কুষ্টিয়ায় শিক্ষকদের সাথে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের মতবিনিময় চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে র‌্যাবের অভিযানে ১০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার প্রথম দিনের আয়ে রেকর্ড গড়ল ‘তাণ্ডব’
repliquemontre.co
www.igetaustralianvapor.com
www.topwatchesol.com

fake rolex

relojes replica

shi sha magic
franck muller replica

বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা; থানায় অভিযোগ: ৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি

  • আপডেট টাইমঃ বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১৪২ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক।।বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর, সদস্যদের মারধর, মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য গালমন্দ, নারী সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত ও হুমকির ঘটনায় পল্টন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে হামলার ঘটনায় আহত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল হাসান বাদী হয়ে পল্টন থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে রাক্ষুসে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনসহ ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা চলাকালে রাক্ষুসে সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন, সরকার জামাল, আহমেদ, গীটার বাবু, গোপীবাগের জামানসহ ১৫/২০ জনের একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী পুরানাপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে সংগঠনের জাতীয় পরিষদের নেতা মাইনুল হাসান, আবুল খায়ের খান, রফিকুল ইসলাম মিরপুরী, মুজাহিদ ও নারী সাংবাদিক আসমা আক্তারসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন।

সন্ত্রাসী কায়দায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ভাংচুর , টেলিফোন ভাংচুর, অফিসের আলমারী খুলে ফাইলপত্র ও নগদ ৭ হাজার টাকা চুরি করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে প্রায় আধাঘন্টা ভাঙচুর চালিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে সাধারণ সভা পন্ডের চেষ্টা চালালে সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ -এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়। তাৎক্ষনিক পুলিশের এসআই আশরাফের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এসময় সাঈদুর রহমানের নেতৃত্বে সাংবাদিক নয় এমন ভাড়াটে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফরকে গুম করার চেষ্টা চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অবশেষে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ব্যাপারে বুধবার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে পল্টন থানার উপ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পুরানাপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাধারণ সভা চলাকালে সাংবাদিকদের উপর হামলা এবং মাদকসহ নানা অনৈতিক কাজে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাঈদুর রহমান রিমনকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১০.১, ১০.২, ১০.৬ , ১০.১০ ধারা, শারমিন সুলতানা মিতুকে ১০.১, ১০.২, ১০.৫, ১০.৬ ও ১০.১০ ধারা, এমএ আকরামকে ১০.১, ১০.২, ১০.৬, ১০.৯ ও ১০.১০ ধারায়, এনামুল কবির সোহেল, রিয়াজুল ইসলাম বাচ্চু ও জুয়েল খন্দকারের বিরুদ্ধে অনুরুপ অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে শহীদুল ইসলাম পাইলটের বিরুদ্ধে নৈতিক চরিত্র স্খলন, সদস্যদের উস্কানী ছাড়াও গঠনতন্ত্রের ১০.১, ১০.৩, ১০.৪ ধারার অপরাধ সার্বিক পর্যবেক্ষনে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হওয়ায় অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর সহ দলটির কয়েকজন শীর্ষ নেতা।

তারা বলেন, আজ থেকে আগামীতে বিতর্কে জড়ানো উল্লেখিত ব্যক্তিরা বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেউ নয়। সাংবাদিকদের স্বার্থে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনের নাম পরিচয় পদবী ব্যবহার করা থেকে তাদের বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। এর পরেও যদি সংগঠনের নাম পরিচয়, পদবী ব্যবহার করে কোনরুপ কর্মকান্ড পরিচালনা করেন এবং সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য; বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছিল কয়েকজন। এর মধ্যেই ওই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে সংগঠনের ৭ জন ব্যক্তি নানারুপ বিতর্ক সৃষ্টি করে আসছিল। বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে সংগঠনের কাজে মনোযোগী হতে বলে হয়। উল্টো সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখে তাই  সংগঠনের ১২.৩ ধারা মোতাবেক তাদের অব্যাহতি দিয়ে পুনরায় ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা,লুটপাট ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে অবমাননার দায়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, কুমিল্লা, বরিশাল, গাজীপুর, রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, নরসিংদী শাখাসহ তৃণমূলের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ

জড়িত সাবেক অধ্যক্ষ ও সভাপতি কুষ্টিয়া সিটি কলেজের ম্যানেজিং কমিটির হরিলুট ! স্যত খবর ডেস্ক : ১৮ জুন ২০২৫।। কুষ্টিয়া শহরের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে কলেজ ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুসহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক এই ঘটনার সাথে জড়িত বলে অনুসন্ধানে তথ্য মিলেছে। অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ১৯শে আগস্ট তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এর মেয়াদ শেষ হয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কুষ্টিয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মজনু। ২০ আগস্ট থেকে কলেজটির এ্যাডহোক কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক । সভাপতি হিসেবে মতিউর রহমান মজনুর মেয়াদকাল শেষ হলেও কুষ্টিয়া সিটি কলেজের নামে চালু থাকা উত্তরা ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখার চলতি হিসাব থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। কলেজটির চলতি হিসাব টিকে টাকা উত্তোলনে সাবেক সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে যার সত্যতা মিলেছে। ওই সময়কালে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন আন্তাজ উদ্দিন। অভিযোগ উঠেছে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনের পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে সাবেক সভাপতি সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা এই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও সিটি কলেজের সম্মুখে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা মার্কেট নির্মাণ ও দোকান বরাদ্দ নিয়েও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেছে। কলেজটির সম্মুখে গড়ে ওঠা এই মার্কেটের দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রেও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত দক্ষসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিজেদের নামে বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়দের নাম পরিচয় ব্যবহার করেছেন। কলেজের কাছে থাকা দোকান বরাদ্দের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায় সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মঞ্জু, তার স্ত্রী, কন্যা সহ পরিবারের সদস্যদের নামে বেশ কয়েকটি দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিনও সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে ছাড়েননি। আন্তাজ উদ্দিন তার নিজের নামে দোকান বরাদ্দ নেওয়ার পাশাপাশি, তার স্ত্রী ছেলে ও পুত্রবধূর নামে বেশ কয়েকটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। বরাদ্দ নেওয়া একটি দোকান শেখ আমানত আলী নামে এক ব্যক্তির কাছে ১৪ লক্ষ বিক্রি করেন। অথচ এই দোকান ক্রয় করতে কলেজ ফান্ডে তিনি মাত্র চার লক্ষ টাকা জমা দেন। আওয়ামী লীগের দোষর সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন খাত তৈরি করে কলেজের অর্থ লুটপাট করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অন্যান্য শিক্ষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন শিক্ষক এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করেন, আন্তাসউদ্দিন মূলত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার ভাই আতাউর রহমান আতার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করেন নি। ওই সময় প্রতিবাদ করারও সুযোগ ছিল না বলে শিক্ষকদের দাবি। এই প্রতিবেদকের হাতে আসা নথিপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিগত সরকারের শাসনামলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের চেয়ারে বসে আওয়ামী লীগের এই দোসররা লক্ষ লক্ষ টাকা ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে আত্মসাৎ করেছেন। একটি নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, কলেজের সম্মুখে যে মার্কেটটি নির্মাণ করা হয়েছে তার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয়েছে আনুমানিক ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মত। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, বরাদ্দকৃত দোকান থেকে উপার্জিত হয়েছে সমপরিমাণ অর্থ। অর্থাৎ দোকান বরাদ্দ থেকে আয় এবং ব্যয় কৌশলে একই দেখানো হয়েছে। মাঝখানে একাধিক দোকান বরাদ্দ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কলেজের শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদক কে জানান, আমরা যাদেরকে বাবা মায়ের পরেই সম্মানের জায়গায় রেখেছি সেই শিক্ষকরা কিভাবে এই ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে ভাবতেই অবাক লাগছে। এই শিক্ষার্থী দাবি করেন, একজন দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষক কখনো তার শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষা দিতে পারেনা। বিষয়গুলো নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চাপা খুব বিরাজ করছে। যা যেকোনো সময় গণবিস্ফোরণ আকার ধারণ করতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। অভিযোগের বিষয়ে কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান মজনুর যোগাযোগ করা হলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নাম্বারটি বন্ধ হওয়া যায়। কলেজটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আন্তাজ উদ্দিন এই প্রতিবেদন এর কাছে দাবি করেছেন, তিনি যা করেছেন নিয়ম মেনেই করেছেন। কলেজ ফান্ডের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনে সাবেক সভাপতি স্বাক্ষর কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার কোন সদ্য দিতে পারেননি। সদত্তর মিলেনি তার এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নামে বরাদ্দ হওয়া দোকানের বিষয়েও। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান এই প্রতিবেদককে জানান, অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তপূর্বক অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। কুষ্টিয়া সিটি কলেজের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম সাজ্জাদ এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই অনিয়ম তছরুপ ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়গুলো অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকটি অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ দালিলিক প্রমাণাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি স্বীকার করেন, কুষ্টিয়া সিটি কলেজের অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহ কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জড়িত। ‌ অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিরাও যতই শক্তিশালী হোক না কেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এই প্রতিবেদকের কাছে আসা কুষ্টিয়া সিটি কলেজে সংগঠিত অর্ধশতাধিক অনিয়ম দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তথ্য যাচাই-বাছাই সহ পর্যালোচনা করে প্রত্যেকটি ঘটনা প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা সহ স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com