1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :

হ্রদের জলে ফুল ভাসিয়ে রাঙামাটিতে বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা শুরু

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ১২ এপ্রিল, ২০২২
  • ৬৯ মোট ভিউ

উইমেন ডেস্ক: রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান বৈসাবি। করোনার বাধা কাটিয়ে চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে উৎসবটি। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সকালে পানিতে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরের জন্য শুভকামনা জানিয়ে গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ফুলবিজু উপলক্ষে শহরের রাজবাড়ীঘাট, পলওয়েল পার্ক, কেরানী পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন, সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানিতে ফুল ভাসানো হয়।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে এবং পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে, তাই একে বলা হয় ফুল বিজু। পানিতে ফুল ভাসিয়ে বিশ্ব মহামারি থেকে মুক্তির জন্য গঙ্গাদেবীর কাছে প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনাই যেন ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালায় পাহাড়ের মানুষ।

পলওয়েল পার্কে হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে পলাটিনা চাকমা জানান, এটি পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ঐহিত্যবাহী সামাজিক উৎসব। করোনার কারণে গত দুই বছর উৎসবটি সেভাবে হয়নি। এবার অনেকটাই আনন্দঘন পরিবেশে ফুল ভাসানো উৎসব পালন করছি আমরা। বিশ্ব যেন করোনা থেকে মুক্তি পায় সেই প্রার্থনা করছি গঙ্গাদেবীর কাছে। আমরা যেন আগামী বছর সুন্দর করে আগের মতো উৎসবটি পালন করতে পারি।

রিতা ত্রিপুরা বলেন, সকালে ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজিয়ে এখন ফুল ভাসাতে এসেছি। ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনাকে ভাসিয়ে দিলাম এবং নতুন বছর যেন আরও অনেক সুন্দর হয়। করোনার পাশাপাশি পৃথিবী থেকে সকল অশুভ দূরীভূত হোক এটাই কামনা করছি।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ফুল ভাসানো উৎসবে যোগ দিয়ে নিজের আনন্দের কথা জানিয়ে বলেন, এত রঙ এত উচ্ছ্বাস দেখে আমি সত্যিই অভিভূত। করোনার কারণে দুই বছর কোনো অনুষ্ঠান হয়নি। কিন্তু এই বছর মানুষের উচ্ছ্বাস আমাদের অন্তরকে ছুঁয়ে গেছে। এই উৎসব আমাদের সকলকে এক করে দিয়েছে। বৈসাবি উপলক্ষে পাহাড়ে বসবাসরত সকলকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

বিজু, সাংগ্রাই, বৈসু, বিষু, বিহু, সাংক্রান উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুকদার বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। কিন্তু এ বছর চিরচেনা রূপ ফিরে পেয়েছে বৈসাবি উৎসব। এই ফুল বিজুর দিনে আমাদের একটাই কামনা আগামী দিনগুলোতে যেন পাহাড়ি বাঙালি সকলে মিলে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com