1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :

মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাওয়ায় ইউএনও’কে অবরুদ্ধ-পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি

  • আপডেট টাইমঃ মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ৯১ মোট ভিউ

লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের সময় পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে স্থানীয়রা অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় স্থানীয়দের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।

এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, পৌর মেয়র ও প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা মাইকে প্রচার চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সোমবার রাত আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

[contact-form][contact-field label=”Name” type=”name” required=”true” /][contact-field label=”Email” type=”email” required=”true” /][contact-field label=”Website” type=”url” /][contact-field label=”Message” type=”textarea” /][/contact-form]

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সোমবার সন্ধ্যা থেকে কুয়াকাটার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ঘরে ফেরার তাগিদ দেন। রাত আটটার দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একটি পত্রিকার (তালাশ) স্টিকার লাগানো মোটরসাইকেলযোগে মো. ইলিয়াস শেখ নামে এক যুবককে থামিয়ে তার মুখে মাস্ক নাই কেন জানতে চান এবং মাস্ক পরতে বলেন। এ সময় ইলিয়াছ শেখ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন।

একপর্যায়ে সম্প্রতি ইয়াবাসহ ইলিয়াস শেখকে আটকের বিষয়টি ইউএনও নিশ্চিত করলে ওই যুবক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ সময় ইউএনও এবং তার সাথে থাকা পুলিশের সঙ্গে ইলিয়াছ শেখের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

 

ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শতাধিক ফটোগ্রাফার চৌরাস্তায় এসে বিক্ষোভ করে ইউএনও’কে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় সেখান থেকে ইউএনও মুক্ত হয়।

 

এ ব্যাপারে ইলিয়াস শেখ জানান, কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলে ইউএনও আমার মোটরসাইকেল থামিয়ে পরিচয় জানতে চাওয়া মাত্রই আমাকে মারধর শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা এ খবরে উত্তেজিত হয়ে তাকে অবরুদ্ধ করেছে।

 

মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘরে ফেরার অনুরোধ জানালে তারা ফিরে যায়।

 

ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে গেলে স্থানীয় চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে তারা আমাকে কিছুক্ষণের জন্য ঘেরাও করে রাখার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ পরিবেশ স্বাভাবিক করে।

 

তিনি আরও জানান, ইলিয়াছ শেখকে কিছুদিন আগে ইয়াবাসহ আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হয়েছিল। তাছাড়া তার মালিকানাধীন একটি আবাসিক হোটেলেও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছিল। এসব মিলিয়ে পূর্বের ঘটনাকে মাথায় রেখে ওরা এ কাজটি করেছে। এবং তিনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হয়ে নিজেকে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com