1. mmisuk010@gmail.com : Misuk joy : Misuk joy
  2. rijukushtia@gmail.com : riju :

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আগুনে পুড়ল ৪০০০ বিঘা জমির পান বরজ

  • আপডেট টাইমঃ রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
  • ২৪ মোট ভিউ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আগুনে পুড়ল ৪০০০ বিঘা জমির পান বরজ

সত্যখবর ডেস্ক: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আগুন লেগে পুড়ে গেছে প্রায় ৪০০০ বিঘা জমির পান বরজ। আগুনে পান বরজের পাশের অন্য ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। পদ্মা নদী তীরবর্তী এসব জমির মালিক আশপাশের পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রায়টা গ্রামের এক বরজ থেকে আগুনের সূত্রপাত। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষীদের বরাত দিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল গাফ্ফার জানান, দুপুর ১২টার দিকে রায়টা এলকার পদ্মা নদী তীরবর্তী একটি পান বরজে আগুন লাগে। স্থানীয়রা আ্গুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। সে সময় জোরে বাতাস ছিল। এ কারণে দ্রুত আগুন আশপাশের পান বরজে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পান চাষীরা অসহায় হয়ে ছুটোছুটি করেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আগুন রায়টা থেকে শুরু করে গোসাইডাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা তীর ঘেঁষা পাঁচটি গ্রামের চাষীদের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকার পান বরজ গ্রাস করে। আগুনে অন্য ফসলেরও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে একে একে জেলা ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে হাত দেয়। পরে পাবনার ঈশ্বরদী থেকে আরেকটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয়দের সহায়তায় আগুনে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

কুষ্টিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা খুরশিদ আনোয়ার জানান, আগুনের ভয়াবহতা খুবই ব্যাপক ছিল। পান ক্ষেতগুলো বাঁশ, খড় ও পাটকাঠির মতো দ্রুত আগুন লাগার উপকরণে তৈরি। এছাড়া বরজগুলো পদ্মা নদী তীরে ফাঁকা স্থানে। আগুন লাগার সময় খুব জোরে বাতাস বইছিল। এ কারণে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে, নেভাতে বেগ পেতে হয়। আগুনে অন্তত চার হাজার বিঘার জমির পান বরজ পুড়ে গেছে।

কয়েকজন পানচাষী জানান, এক বিঘা জমিতে পান বরজ তৈরিতে খরচ হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বরজে বিপুল পরিমাণ পান ছিল। সব মিলিয়ে পুড়ে যাওয়া প্রতি বিঘা পান বরজে ক্ষতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এ হিসাবে ৪০০০ বিঘা পান বরজ পুড়ে চাষীদের ৫০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরোও পড়ুনঃ
© All rights reserved © 2021 | Powered By Sattokhobor Media Ltd
Site Customized By NewsTech.Com